বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে এক দিনের জন্য দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করল শিশু সাংবাদিক রূপকথা রহমান।
শিশু সাংবাদিকতায় বিশ্বের প্রথম বাংলা সাইট হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ২০১৩ সাল থেকে শিশু সাংবাদিকতা করছে রূপকথা রহমান। সে থাকে রাজধানীর হোসেনি দালানসংলগ্ন এলাকায়। বজলুর রহমান ও জোবায়েদা বেগমের দুই ছেলে–মেয়ের মধ্যে রূপকথা ছোট। ঢাকার হলিক্রস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে তিনি।
বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফের একটি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে তারা শিশুদের প্রতি অঙ্গীকার রক্ষা করে, স্মরণ করিয়ে দেয় শিশুদের প্রতি বড়দের দায়িত্বের কথা। সারা পৃথিবীতে কিডস টেকওভারের মাধ্যমে শিশুরা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে নিজেদের মতপ্রকাশ, ধারণার বাস্তবায়ন এবং পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ পায়।
ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে সম্পাদকের কক্ষে ঢুকার পর রূপকথা রহমান পেল উষ্ণ অভ্যর্থনা। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান নিজের আসন ছেড়ে দিলেন এক দিনের সম্পাদকের জন্য। তিনি বললেন, ‘আমার তো বয়স হয়েছে, আমি চাই, তরুণ কেউ আমার চেয়ারটিতে বসুক। আপনি এই দায়িত্ব নেওয়ায় আমি আনন্দিত। এবার আপনি বলুন, কেমন লাগছে সম্পাদকের দায়িত্ব নিতে পেরে?’
প্রথম আলোর এক দিনের সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে রূপকথা রহমান বলেন, ‘আমি শিশু সাংবাদিকতা করছি বেশ কয়েক বছর ধরে। তবে আজই প্রথম কোনো প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মকাণ্ড কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেলাম। তাই প্রথম আলোর এক দিনের সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে আমি দারুণ রোমাঞ্চিত।’
শিশুদের প্রসঙ্গে প্রথম আলোর কাছে একটা প্রস্তাব তুলে ধরে রূপকথা বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো গবেষণা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছোট একটা নমুনা নিয়ে, নির্দিষ্ট কিছু স্থানের অল্প কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলে একটা ফল প্রকাশ করা হয়। তাই এ ক্ষেত্রে আমার একটা প্রস্তাব আছে। প্রথম আলো যেহেতু দেশের সব অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে, তাই আপনারা যেন সব জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে শিশুদের জন্য একটি তথ্যভান্ডার গড়ে তোলেন। শিশুদের সমস্যাগুলো বাড়ছে নাকি কমছে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের কী অবস্থা, তাদের পড়াশোনার কী অবস্থা, স্বাস্থ্যের খবর কী এবং তাদের পারিবারিক অবস্থাও যেন তাতে জানা যায়।’
এক দিনের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে রূপকথা বলেন, ‘আজ উপলব্ধি করেছি, রোজ আমাদের নখদর্পণে এত এত খবর পৌঁছে দিতে সাংবাদিকেরা কতটা পরিশ্রম করেন! প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। এর ফলে আমি সাংবাদিক হতে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি।’ সূত্র: প্রথম আলো
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.