মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এ টেক্সট ক্যাটাগরী (অ-১৮)তে প্রথম পুরষ্কার পেয়েছেন রাফসান নিঝুম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত ‘বর্ণবাদমুক্ত পৃথিবীতে পরিচয় হোক মানুষ হিসেবে’ শিরোনামের লেখার জন্য এ সম্মাননা পেলেন তিনি।
মূলত বর্ণবাদ নিয়ে তার নিজের অভিজ্ঞতা ও দেখা বিষয়গুলোকে তুলে ধরেছেন রাফসান নিঝুম। যেখানে কালো চামড়া ও বর্ণের মানুষগুলোকে জীবনে কেমন সমস্যায় পড়তে হয়, তা নিয়ে লিখেছিলেন তিনি।
শিশুদের বিষয়গুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার উৎকর্ষতাকে স্বীকৃতি দিয়ে ২০০৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে নীতিনির্ধারক এবং বৃহত্তর জনসাধারণের কাছ থেকে শিশুদের জন্য সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এই অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করে ইউনিসেফ। তবে করোনার কারণে এবারের আসরটি আয়োজন করা হয় অনলাইনে।
প্রথমবাররের মতো অংশ নিয়ে পুরষ্কার জিতে নিজের অনুভূতি জানিয়ে রাফসান নিঝুম বলেন, “যে কোন স্বীকৃতিই নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে। আমার ছোট ক্যারিয়ারে এটি অনেক বড় একটা অর্জন। এমন সম্মাননা ভবিষ্যতে নতুন যে কোন কাজে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে।”
ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে নিঝুম বলেন, “আমার কোনো ভবিষ্যত পরিকল্পনা নাই। কারণ আমি কখনো ভাবি নাই আমি সাংবাদিকতা করব! কখনো ভাবি নাই আমি মিডিয়া জগতে ক্যামেরার পেছনে কাজ করব! পরিকল্পনা করে এই জীবনে কিছুই করি নাই আমি”
নিঝুম ছাড়াও আরও ২১ জন গণমাধ্যমকর্মীকে মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক এই সংস্থা!
ইউনিসেফ জানায়, একটি ক্রেস্ট ও সনদের সাথে প্রথম পুরষ্কার হিসেবে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরষ্কার হিসেবে ২৫ হাজার টাকা এবং তৃতীয় পুরষ্কার হিসেবে ১৫ হাজার টাকা বিজয়ীদের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হ্যালো বিভাগ দিয়ে রাফসান নিঝুমের সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু হয়। এরপর কন্ট্রিবিউটর হিসেবে দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় কাজ করেছেন।
বর্তমানে স্পাইস টেলিভিশনে ট্রেইনি জার্নালিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী। একই সাথে বেসরকারি প্রোডাকশন হাউজ সল্ট কমিনিউকেশনসের হয়ে এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে মিডিয়ায় কাজ করছেন।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.