ঈদ মানে কি শুধু আনন্দ?
প্রথমেই আমাদের মনে একটা প্রশ্ন জাগতে পারে কিংবা জাগে। আর সেই প্রশ্নটা হচ্ছে ঈদ মানে কি শুধু আনন্দ? মুসলিমদের প্রধান দুইটি উৎসবের মধ্যে সবচেয়ে আনন্দময় উৎসব ‘ঈদ’।
ঈদ আসলেই আমাদের সবার মন মেতে উঠে আনন্দে, খুশিতে। কিন্তু এ আনন্দে, খুশিতে সবাই কি মেতে উঠতে পারে? এ রকম একটা প্রশ্ন আমাদের মনে জাগে। জাগবে নাই বা কেন? তবে হ্যাঁ, আমরা সবাই জানি ঈদ মানে হচ্ছে আনন্দে, খুশিতে মেতে উঠা। ঈদ আসলেই মুসলিমদের প্রতিটা ঘরে ঘরে আনন্দের ঢেউ ভরে যায়।
কিন্তু এ আনন্দে মেতে উঠতে কারো কারোর কাছে হয় না। হয় না বলতে ভুল হবে ভাগ্যে জুটে না। কারণ আমাদের সমাজে কতগুলো মানুষ আছে যাদের দিনে দু বেলা ভাত জুতে না। তারা কি করে ঈদের আনন্দে মেতে উঠবে?
আসলে আমাদের দেশে প্রায় লোকই নিন্ম আয়ের। যার কারণে তারা ঈদের আনন্দের সাথে মেতে উঠতে পারে না। ফলে তাদের ঈদ মাটি হয়ে যায়। পছন্দের মতো কাপড় কিনতে পারে না। কোথাও ঘুরতে পারে না নতুন কাপড় না থাকায়। লজ্জায় বসে থাকতে হয় ঘরের এক কোণে। এটাই কি তাদের ঈদ। আসলে এখানেই আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত তাদের জন্য, তাদের একটা নতুন কাপড় কিনে দেওয়ার মতো সাধ্য নেই কারো?
প্রকৃতপক্ষে আমাদের সমাজের ধনীদের উচিৎ সমাজের বাকিদের একটু সাহায্য করা। কিন্তু না তারা বরং সাহায্যের পরিবর্তে শোষণ করতে থাকে আরও। কিভাবে আরও বড় লোক হওয়া যায়? এ নিয়ে তাদের মধ্যে চলে এক প্রতিযোগিতা। ঈদ আসলেই ফ্রিজ কেনা যায়। ছেলেমেয়ের জন্য কিভাবে একাধিক জামাকাপড় কিনা যায়। একটার জন্য চার- পাঁচটা কাপড় কিনতে পারা যায়। কিন্তু একটা সাধারণ পরিবাররে ছেলেকে তারা একটা কাপড় কিনে দিতে পারে না। তাদের ছেলেদের বেলায় তিন চারটা জামা কেনা যায় কিন্তু একজন নিন্ম আয়ের মানুষের বেলায় একটাও জুতে না। এটা কি রকম দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের এ সমাজের?
আসলে আমাদের উচিত সমাজের এ দৃষ্টিভঙ্গিকে ভেঙ্গে নিন্ম আয়ের পরিবারের সাথে একসাথে ঈদের আনন্দে মেতে উঠা উচিৎ। কিন্তু আমাদের সমাজে কি হয়? এ রকম দৃষ্টিভঙ্গি আরও কঠোর করে ফেলে আমাদের সমাজের লোকরা। বড় লোকেরা তাদেরকে মানুষ হিসেবেও মানতে চাই না। বড় লোকেরা, হ্যাঁ আপনাদের বলছি, ন্নিম আয়ের কি মানুষ নয় ? তারাও কি এ ঈদে আনন্দ করতে পারে না? কেন ঈদে তারা খুশিতে থাকতে পারবে না? নিন্ম আয়ের মানুষেরা কি আজ অসহায় বলে? তারা নতুন জামাকাপড় কিনতে পারে না বলে? শুধু মাত্র একটা জামা কিনে দিলে আপনাদের ধনসম্পদ শেষ হয়ে যাবে? না বরং আপনাদের ধনসম্পদ আরও বেড়ে যাবে।
আসলে আমাদের উচিত সমাজের এ দৃষ্টিভঙ্গিকে ভেঙ্গে নিন্ম আয়ের পরিবারের সাথে একসাথে ঈদের আনন্দে মেতে উঠা উচিৎ।
কিন্তু আমাদের সমাজে কি হয়? এ রকম দৃষ্টিভঙ্গি আরও কঠোর করে ফেলে আমাদের সমাজের লোকরা। বড় লোকেরা তাদেরকে মানুষ হিসেবেও মানতে চাই না। বড় লোকেরা, হ্যাঁ আপনাদের বলছি, ন্নিম আয়ের কি মানুষ নয় ? তারাও কি এ ঈদে আনন্দ করতে পারে না? কেন ঈদে তারা খুশিতে থাকতে পারবে না? নিন্ম আয়ের মানুষেরা কি আজ অসহায় বলে? তারা নতুন জামাকাপড় কিনতে পারে না বলে? শুধু মাত্র একটা জামা কিনে দিলে আপনাদের ধনসম্পদ শেষ হয়ে যাবে? না বরং তাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আপনাদের ধনসম্পদ আরও বেড়ে যাবে।
এসব জেনেও কেন আপনাদের এ রকম দৃষ্টিভঙ্গি? এমন কেউ কেউ আছে যে তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তারা যাকাত দিতে চাই। আপনাদের এ যাকাতের টাকায় পেয়ে যেতে পারে নতুন জামাকাপড়। দেখবেন নতুন জামাকাপড় পেয়ে তারা কত নাই খুশি! এ খুশি দেখে মনে হবে আপনার যেন এক আত্মার খুশি।
তাই আমাদের উচিত গরিব ধনী সবাই মিলে ঈদের আনন্দে মেতে উঠা। আল্লাহ্ এর কাছে একটাই চাওয়া এবারের ঈদে যেন আমরা সবাই একসূত্রে ঈদের আনন্দে মেতে উঠতে পারি। ঈদ মোবারক…
লেখক: মো: আরমান
শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণি, পেকুয়া সরকারি মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন, কক্সবাজার।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.