পড়া ভুলে যাওয়া মানুষের একটা কমন জিনিস। কেউ কেউ আছে যারা অল্প পড়ে বেশী মনে রাখতে পারে । আবার অনেকে আছে যারা অনেক পড়াশুনা করে কিন্তু পড়া মনে রাখতে পারে না। পড়া সহজে মনে রাখার কিছু কৌশল।
পড়া মনে রাখার সহজ উপায়
আগ্রহ তৈরি: আগ্রহ নিয়ে পড়তে বসা। পড়ার সময় নিজের ভিতর থেকে আগ্রহ তৈরি করতে হবে। পড়া কঠিন, মনে থাকে না, বুঝিনা এসব পূর্বধারণা থেকে বেরিয়ে খালি মাথা নিয়ে বসতে হবে। পড়াশুনা আমাদের সবার কাছে কমবেশি কঠিন বিষয়। আর এ কঠিন বিষয়টিকে যদি সহজ ও মনে রাখার উপযোগী করতে হয় তাহলে আগ্রহ থাকাটা আবশ্যক।
কনসেপ্ট ট্রি: পড়া শিখার আগে পুরো অধ্যায়টিকে সাতটি অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশের জন্য একটি লাইন করে সারমর্ম লিখতে হবে। তারপর খাতায় একটি গাছ একে সাতটি সারমর্মকে গাছের এক একটি পাতায় লিখে রাখতে হবে। তারপর পাতাগুলোতে প্রতিদিন চোখ বুলালেই আধ্যায়টি সম্পর্কে একটি পুর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে।
কী ওয়ার্ড: যে কোন বিষয়ের কঠিন অংশগুলো ছন্দের আকারে খুব সহজে মনে রাখা যায়। যেমন: রংধনুর সাত রং মনে রাখার সহজ কৌশল হলো ‘বেনীআসহকলা’ শব্দটি মনে রাখা। সাতটি রংয়ের প্রথম আদ্যাক্ষর রয়েছে শব্দটিতে।
লিখে পড়ার অভ্যাস করতে হবে: লিখে পড়লে আমাদের ব্রেনের অনেক বেশি এলাকা উদ্দীপ্ত হয়। লেখার সাথে ব্রেনের যে অংশগুলো জড়িত তা তথ্যকে স্থায়ী মেমোরীতে রূপান্তর করতে সহায়তা করে।
মার্কার ব্যবহার করা: অনেকে পড়ার সময় মার্কার ব্যবহার করে এটা বেশ কার্যকর। কারণ যখন কোন কিছু মার্ক করা হয় তখন ঐ শব্দ বা বাক্যের উপর আগ্রহ ও আকর্ষণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি এর উপর ব্রেনের ভিজ্যুয়াল এফেক্ট বেড়ে যায়। ফলে মনে রাখতে সুবিধা হয়।
সন্ধ্যার পর পড়াশোনা করা: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সকাল দশটার আগে মানুষের ব্রেন ক্রিয়াশীল হয় না। এই সময়ের পর থেকে ধীরে ধীরে ব্রেনের ক্রিয়াশীলতা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বিকালের পরে ব্রেনের ক্রিয়াশীলতা বাড়ে।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র সাইট ক্লিক করুন
[শিশুরাই তোলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.