বন্ধুত্ব যেন রক্তের সম্পর্ককেও হার মানায়। একসময় যাদের সাথে আড্ডা না দিলে, দেখা না করলে দিনটাই ভালো যেত না। অবশ্য আজ অনেক দিন তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া হয়নি। তারপরও হঠাৎ দেখা হলে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে বাধ্য।
কোন সময় যখন আমার মা অসুস্থ থাকার কারণে আমি টিফিন নিয়ে যেতে পারতাম না। সে সময়ে বন্ধুরাই বলত, পৃথিবীর সব মা অসুস্থ হয়নি নে টিফিন খা যেন ভাই-বোন। বন্ধুর টিফিন চুরি আর মুখের খাবার কেড়ে খাওয়ার পরও মুচকি হাসে, যেন ক্ষুধার্ত নয়।
হোঁচট খেয়ে মাথায় আঘাতে রক্ত ঝড়ার পরে যখন বন্ধুরাই তার সমাধান করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠতো। সে বন্ধুদের ভুলি কি করে! কোন বন্ধুর অনুপস্থিতিতে শিট দিলে স্যারদেরকে মানিয়ে ডাবল শিট নেওয়ার অজুহাত খুঁজবে কে? এখানেই শেষ নয় বন্ধুকে টিসি দেওয়ার সময় নির্দোষ বন্ধুদের দোষ স্বীকার করা, এ যেন এক সিগমা বন্ধন।
বিপদের সময় সকালে ঝগড়া হওয়া বন্ধুটা এসে বলে, পাশে আছি যেন পৃথিবীর সব সুখ-শান্তি এক হয়ে যায়। ঝগড়ার পরে আমার এলাকায় গেলে খবর আছে বলে হুমকি দেওয়া বন্ধুটাই বিকেলে হিংসা-অহংকারহীন কণ্ঠে বলে, চল খেলতে যাই এ যেন পৃথিবীর সব ভালোবাসাকে হার মানায়। বন্ধু চক্রে নানা ধরন ও মতের বন্ধু থাকে যেখানে প্রায় সময় কোন কাজে একমত হওয়া কঠিন। তারপরও বন্ধুরা সব কিছু মানিয়ে নেয়। যে ভুলে সমাজ আমাদের উপেক্ষা করে চলে মাথায় আঘাত করে আমাদের দামিয়ে দেয়। সেখানে বন্ধুরা সব কিছু মানিয়ে চলতে সহায়তা করে।
বুকে শত আঘাত-শত কষ্ট পোষা, তারপরও বন্ধুর কষ্টে নিজের ব্যাথা লুকিয়ে বন্ধুকে সান্তনা দেওয়া বন্ধুগুলো কি লকডাউনে হারিয়ে গেছে? এরকম অনলাইনেও আমাদের অনেক বন্ধু আছে, যারা নানা ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ায়- সহায়তা করে। তাদের অবদানও ভুলার মতো নয়।
সেই বন্ধুদের সাথে কি দেখা হবে না? অপেক্ষায় আছি আবারও পাবো হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো। আশায় আছি আবাও বই আমিও আনি নাই মিথ্যে বলে বই না আনা বন্ধুর সাথে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবো। ভালোবাসা পৃথিবীর সকল বন্ধুদের প্রতি। ভালো থাকুক বন্ধুত্ব নামের অদ্ভুত সম্পর্ক।
সুয়াইব হাসান রিফাত
একাদশ শ্রেণী, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.