বন্যা পানি নেমে যাওয়ার নির্ধারিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে জামালপুর জেলার ১৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল।

জেলা শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ১৬১টি, কলেজ, দাখিল মাদ্রাসা, আলীম মাদ্রাসা, বিএম কলেজসহ ৫৯১টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ থেকে বন্যা ও বৃষ্টির পানি নেমে গেলেও এখনো কিছু বিদ্যালয়ে পাঠদানের উপযোগী হয়ে ওঠনি। তবে নির্ধারিত দিন থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পউবো) জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ বলেন, বর্তমানে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে ইসলামপুর উপজেলার বন্যায় প্লাবিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, চিনাডুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি আগের চেয়ে অনে কমে গেছে, তবে বিদ্যালয়ের মাঠে এখনো কাঁদা মাটি আটকা রয়েছে। একই অবস্থা উপজেলার ডেবরাইপ্যাচ, দেলিরপাড় ,বলিয়াদহ, পূর্ব বামনা, বীর নন্দনেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ  বন্যায় প্লাবিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

চিনাডুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জামালী বলেন, ‘মাঠ থেকে পানি নেমে গেলেও বিদ্যালয়ের আশেপাশে এখনো পানি রয়েছে। আর মাঠে আটকা রয়েছে কাঁদা মাটি। আশাকরি আগামী দুইদিন বৃষ্টি না হলে নির্ধারিত তারিখেই আমার স্কুল খুলব।

ইসলামপুর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন মোহন মিয়া বলেন,‘পানি নেমে গেলেও কিছু কিছু বিদ্যালয়ের বেঞ্চগুলোতে কাঁদা মাটিতে নষ্ট হয়েছে। সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। পাঠদানের জন্য আমরা শিক্ষক পরিবার সবাই প্রস্তুত আছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘১৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হলেও রোববার থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে চরাঞ্চলের কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠে এখনো পানি রয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত তারিখেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে এখনো কি পরিমাণের মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা  নির্ধারণ করা হয়নি।

তথ্য ও ছবি: সাহিদুর রহমান

আমাদের সময় ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]

Comments are closed.