আজ বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস। ১৯৮৩ সাল থেকে বিশ্ব ব্যাপী এই দিবসটি পালিত হচ্ছে । এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ” জটিল অতীত, বৈচিত্রময় ভবিষ্যৎ “।
‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস (ICOMOS)’ ১৯৮২ সালে তিউনিশিয়ায় একটি আলোচনা সভায় ১৮ এপ্রিলকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সালে দিনটি ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস’ হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায়।
২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩টি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যস্থল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ঐতিহ্যস্থলগুলো হচ্ছে- নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার (আদি নাম সোমপুর মহাবিহার), বাগেরহাটের মসজিদ শহর এবং সুন্দরবন।
এই তিনটির মধ্যে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার (১৯৮৫) ও বাগেরহাট মসজিদ শহর (১৯৮৫) বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভুক্ত প্রত্নস্থল।
প্রাকৃতিক স্থান হিসেবে বিশ্বে প্রাকৃতিক ঐতিহ্যস্থলভুক্ত হয়েছে সুন্দরবন (১৯৯৭)। এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এছাড়াও বিশ্বের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জায়গা পেয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং শীতলপাটি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকেও ইউনেস্কো আওতাভুক্ত করেছে ২০১৭ সালে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামে।
১৬-২৫ জুন ২০১৪ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৩৮তম বৈঠকে নতুন করে ২৬টি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করে যেখানে বাংলাদেশের আরো ৫টি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যস্থলে সাংস্কৃতিক শাখায় সম্ভাব্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো বগুড়ার মহাস্থানগড়, কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি গ্রুপ অব মনুমেন্ট, ঢাকার লালবাগ কেল্লা, নওগাঁর হলুদ বিহার ও জগদ্দল বিহার। বাংলাদেশে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হবার জন্য আরও অনেক স্থান আছে।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তোলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.