মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে

আজ ওয়ার্ল্ড মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্ট ডে, বা নিরাপদ ঋতুস্রাব দিবস। ২০১৪ সাল থেকে দিবসটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বে প্রায় ২শ ৪০ কোটি নারী ও তরুণী স্বাভাবিক এ প্রজনন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলেও, এখনও এ নিয়ে তৈরি হয়নি সচেতনতা।

পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব। নারীদেহের খুবই স্বাভাবিক এক প্রক্রিয়া। পরিসংখ্যান বলছে, একজন নারীর জীবনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার দিন পিরিয়ড থাকে।

জাতিসংঘের সদস্য সংগঠন ‘ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন কোলাবোরেশন কাউন্সিল’ বলছে, বিশ্বে ২৪০ কোটি নারী ও তরুণী ঋতুবতী। যার মধ্যে ৬৫ কোটি নারী ও তরুনী দক্ষিণ এশিয়ার। বলা হচ্ছে বাংলাদেশে ৯০ ভাগ কিশোরী পিরিয়ড সম্পর্কে প্রথম জানতে পারে, পরিবারের নারী সদস্যদের কাছ থেকে। এছাড়া, বিষয়টিকে এখনও লজ্জা ও গোপনীয় মনে করা হয়।

আইসিডিডিআরবি’র হিসাবে, গ্রামাঞ্চলে প্রতি চার জনে একজন, আর শহরে প্রতি ৫ জনের একজন কিশোরী, পিরিয়ডের সময় স্কুলে যায় না। গবেষণা বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার পানি, স্বাস্থ্য সম্মত ও ঋতুস্রাব বান্ধব শৌচাগার না থাকাই এর মূল কারণ। এছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার তিনভাগের একভাগ কিশোরীও, পিরিয়ডের সময় স্কুল বাদ দেয়।

তবে, পিরিয়ডের ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে আছে, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। দেশে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমে প্রচার ও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্তির পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। সূত্র: চ্যালেন২৪

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]

Comments are closed.