দেশের কওমি মাদরাসাসহ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সাথে মাদরাসাগুলোকে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আনতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
একইসাথে কওমি মাদরাসা সংক্রান্ত আলাদা আলাদা পরিচালিত ছয়টি শিক্ষা বোর্ডকে সমন্বয় করে একটি কওমি শিক্ষা বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কওমি মাদরাসায় নিবন্ধনের নীতিমালা প্রণয়ন ও কওমি শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব তৈরিতে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, ১৫ সদস্যের এই কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমানকে আহ্বায়ক ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক মো. আব্দুস সেলিমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কওমি মাদরাসাসহ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকরকরণ ও সরকারের নিবন্ধনের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন এবং কওমি মাদরাসার আলাদাভাবে পরিচালিত ছয় বোর্ডকে সমন্বয় করে একটি কওমি শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
১৫ সদস্যের ওই কমিটিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, জননিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাখা হয়েছে। এছাড়া কওমি মাদরাসার ছয় বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও পদাধিকার বলে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন, বেফাক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, গওহরডাঙ্গা বোর্ডের রুহুল আমীন, আঞ্জুমানে ইত্তিহাদ বোর্ডের আবদুল হালিম বোখারি, সিলেটের আযাদ দ্বীনি বোর্ডের জিয়াউদ্দিন, তানযীমুল মাদারিসের আরশাদ রহমানী ও জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
গত ২৫ এপ্রিল কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়ার স্থায়ী কমিটির সভায় কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রচলিত সব ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টা নিষিদ্ধ করা হয়। সূত্র: দৈনিক শিক্ষাডটকম।
Comments are closed.