এবার অন্ধ হাফেজের পাশে অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন
সংবাদমাধ্যমে আলোচিত সেই অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগরের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন’। সক্ষম স্থায়ী জীবিকা প্রকল্পের মাধ্যমে অন্ধ হাফেজের একমাত্র ছেলে সিরাজুলের জন্য একটি দোকানের জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে সক্ষম প্রকল্পের সহকারী সিনিয়র অফিসার নাভিদ আনজুম হাসান ও সহকারী অফিসার সৌখিন বিশ্বাস সিরাজুলের হাতে দোকানের চাবি তুলে দেয়। দোকানের চাবি হাতে পেয়ে আনন্দে অশ্রুসিক্ত হয়েছে অন্ধ হাফেজের পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে “ভয়েস অফ হ্যালো”কে সক্ষম প্রকল্পের সহকারী অফিসার সৌখিন বিশ্বাস বলেন, গণমাধ্যমে পাওয়া সূত্র ধরে আমরা তার খোঁজ পাই, পরে চাঁন সওদাগরের সাথে কথা বলে তার চাওয়া ছেলের জন্য একটি ফুল সেটআপ কম্পিউটারসহ দোকানের ব্যবস্থা করা দেয়। তাকে সহযোগীতা করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। ভবিষ্যতে তার জন্য একটি ব্রেইল মেশিনেরও ব্যবস্থা করে দেয়ার চেষ্টা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। এর ফলে খোঁজ নিতে তার বাড়িতে যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা। দায়িত্ব নেন সকল সমস্যা সমাধানের।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও অন্ধ হাফেজের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
চাঁন সওদাগর বলেন, আমার কথা শুনে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন বাড়িতে ছুটে এসেছিলেন। এছাড়াও সক্ষম প্রকল্পের মাধ্যমে আমার ছেলের জন্য একটি কম্পিউটারের দোকানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। ছেলের রোজগারে আমি অন্তত দু’বেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে চলতে পারবো। এজন্য গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন আমাকে আশ্বস্ত করেছেন সকল সমস্যা সমাধানের। যে হতাশায় জীবন যাপন করেছি তা বোধ হয় আল্লাহর অশেষ রহমতে থাকবে না।
শেখ মুহাম্মদ আতিফ আসাদ
শিক্ষার্থী, অনার্স প্রথম বর্ষ, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.