ঐতিহাসিক জিন্দা পীর মসজিদ
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জেলা হিসেবে বাগেরহাট পরিচিত। সেই সাথে মসজিদের শহর হিসেবেও জেলাটি পরিচিত রয়েছে। বাগেরহাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মুসলিম স্থাপত্যের নানা নিদর্শন।
প্রাচীনকাল হতে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এইসব স্থাপনার একটি জিন্দা পীর মসজিদ। সাধারণত এসব প্রাচীন স্থাপনার সাথে বিভিন্ন কিংবদন্তিদের গল্প গাঁথা রয়েছে। তেমনি এই জিন্দা পীর মসজিদের সাথেও জড়িত রয়েছে এমন কিছু গল্প। যে কাহিনীর বিশ্বাস যোগ্য কোন প্রমাণ না থাকলেও মানুষের মুখে এসব গল্প বছরের পর বছর আজও প্রচলিত হয়ে আসছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই মসজিদটি একজন বুজুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে নির্মিত হয়েছে। কোন একসময় কুরআন তিলাওয়াত করতে করতে অদৃশ্য হয়ে যান তিনি। এবং এই সূত্রে ধারণা করা হয়েছে, আজও জীবিত রয়েছেন তিনি এবং তার সূত্র ধরেই এই মসজিদের নাম রাখা হয়েছে জিন্দা পীর মসজিদ।
জিন্দা পীর মসজিদটি বাগেরহাট জেলার সুন্দরঘোনা গ্রামে জিন্দাপীর মাজার কমপ্লেক্সের উত্তর পশ্চিম কোনায় অবস্থিত রয়েছে। মসজিদটি বর্গাকার ভূমি পরিকল্পনায় (৬* ৬) মিটার নির্মিত এটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। মসজিদের দেয়ালগুলো গড়ে ১ দশমিক ৫২ মিটার পুরু। পূর্ব বাহুতে ৩টি, উত্তর ও দক্ষিণ বাহুতে একটি করে খিলান দরজা আছে। সামনের বাহুতে তিনটি মেহরাব রয়েছে।
এছাড়া মসজিদের চারপাশের চারটি গোলাকার বুরুজ রয়েছে। মসজিদের ভাঙা অবস্থায় থাকা ছাদের অর্ধগোলাকার গম্বুজটি ২০০২ সালে সংস্কার করা হয়। একই বছরে এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কারের মাধ্যমে পূর্ণ অবয়ব প্রদান করা হয়েছে।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.