জল্লাদ শাহজাহানের অজানা কথা

সম্প্রতি প্রায় ৩২ বছরের সাজা শেষে মুক্তি পেয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। যার মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। আচার-আচরণ এবং অন্যান্য কারণে সব মিলিয়ে ১০ বছর ৫ মাস রেয়াত পেয়েছেন।

আজকের স্টোরিতে জানবো শাহজাহান কিভাবে জল্লাদ হলেন এবং জানা অজানা কথা…

১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শাহজাহান। তিন বোন এক ভাই। বাবার নাম হাসান আলী ভূঁইয়া। মাতা সব মেহের। ১৯৭৪ সালে তিনি এইচএসসি পাস করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত। তিনি নরসিংদী জেলার কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

জানা গেছে, একবার তার গ্রামে নারী ঘটিত একটি ঘটনা ঘটে। শাহজাহানের দুই বন্ধুসহ তার নামে অভিযোগ ওঠে। গ্রামে এই নিয়ে বিচারে বসা হয়। সেই বিচারে অপরাধী প্রমাণিত করে তাকে সাজা দেওয়া হয়। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন তিনি। ওই ঘটনার পরে তিনি বাংলাদেশের একজন বহুল পরিচিত সন্ত্রাসীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন।

১৯৭৯ সালে আটক হওয়ার আগে ও পরে তার নামে সর্বমোট ৩৬টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলা, একটি ডাকাতি মামলা এবং অবশিষ্ট ৩৪টি হত্যা মামলা। ১৯৯২ সালের ৮ নভেম্বর ডাকাতির জন্য ১২ বছর এবং ১৯৯৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর অন্য একটি মামলায় ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয়।

সাজা কমাতে জল্লাদের খাতায় নাম লেখান তিনি। ১৯৮৯ সালে তিনি সহযোগী জল্লাদ হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে তার জল্লাদ জীবনের সূচনা করেন। তার যোগ্যতা দেখে ৮ বছর পর ১৯৯৭ সালে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান জল্লাদের আসন দেন।

কারা সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ ঘাতক, ৬ জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ বাংলাদেশের আলোচিত ২৬ জনকে ফাঁসি দিয়েছেন শাহজাহান।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]

Comments are closed.