আধুনিক স্থাপত্য নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম হল কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার কুয়ালালামপুরের জালান আমপাং এ অবস্থিত। উচ্চতার দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ১৬ নাম্বারে আছে এই পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার।
১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার ছিল। ৮৮ তলাবিশিষ্ট সুউচ্চ টাওয়ারটির উচ্চতা ১৪৮৩ ফুট।
অপরূপ সুন্দর এই টাওয়ারটির নকশা করেছিলেন আর্জেন্টাইন স্থপতি চেসার পেলী। এর নিচে প্রায় ১২০ মিটারের ফাউন্ডেশন গাঁথুনি আছে। এটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে একটানা সাত বছর। মালয়েশিয়ার মোবাইল কোম্পানি মাক্সিস ও তেল কোম্পানি পেট্রোনাসের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে এই টাওয়ারটি।
টাওয়ারের ৪১ এবং ৪২ তম তলাকে সংযুক্ত করেছে একটি ব্রিজ। ব্রিজটির নাম হচ্ছে স্কাই ব্রিজ। এই ব্রিজের সাহায্যেই এক ভবন থেকে অন্য ভবন যেতে হয়। এই ব্রিজটি ৫৮ দশমিক ৪ মিটার লম্বা এবং এর ওজন প্রায় ৭৫০ টন। পেট্রোনাসের অফিস এই টাওয়ারেই। এই পেট্রোনাস কোম্পানির নামেই টাওয়ারটির নামকরণ করা হয়েছে। এখানে আল-জাজিরা, বোয়িং, আইবিএম, ক্রওলার নেটওয়ার্ক, মাইক্রোসফট, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের দফতর রয়েছে। এখানে রয়েছে ৮ তলাবিশিষ্ট শপিংমল। এই শপিংমলটির পাঁচতলা মাটির নিচে এবং বাকি তিনতলা সমতলে অবস্থিত।
পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার যেখানে অবস্থিত তার নাম কেএলসিসি বা কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার। কেএল সেন্ট্রাল থেকে মনোরেলে সরাসরি যাওয়া যায় কেএলসিসিতে। কেনাকাটা করতে চাইলে এখান থেকে শপিং সেরে নিতে পারবেন। পেট্রোনাস টাওয়ারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। নির্মাণ কাজ শেষে ১৯৯৯ সালের পহেলা আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মুহাম্মাদ এটি উদ্বোধন করেন।
এখানে পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য স্কাই ব্রিজ হল সেরা আকর্ষণ। এখানে রয়েছে কৃত্রিম একটি সেতু। অনেকে একে ওয়াটার ড্যান্সিং শোও বলে থাকেন। বিভিন্ন মিউজিকের তালে পানির ফোয়ারা থেকে পানির নি:সরণ আর রঙিন আলো দেখে পর্যটকরা আনন্দে মেতে উঠেন।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.