কিংবদন্তী অনুসারে, লায়োনিস রাজ্য ছিল ব্রিটেনের সিসিলি দ্বীপে অবস্থিত বিশাল এক রাজ্য। কোনো একদিন বিশাল এই রাজ্যকে গিলে নেয় উত্তাল সমুদ্র। কেউ কেউ মনে করেন বর্তমানে সেখানে অবস্থিত ১৪০টি দ্বীপ আসলে সেই ডুবে যাওয়া রাজ্যের পাহাড়চূড়া!
চতুর্দশ শতাব্দীর উইলিয়াম ওরচেস্টারের লেখা ভ্রমণবৃত্তান্ততে সর্বপ্রথম কর্নওয়াল উপকূলে হারিয়ে যাওয়া এক সভ্যতার কথা দেখতে পাওয়া যায়। লেখকের বর্ণনামতে, প্লাবনের পূর্বে সমুদ্র থেকে ৪০ মাইল দূরে বিস্তৃত এক অচেনা স্থান ছিল। তিনি বলেন, “বহু বন, মাঠ সহ ১৪০টি গির্জা, সবই আজ ডুবে আছে পর্বত ও সিসিলি দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে।”
ইতিহাসের বহু কাহিনীতে এই লায়োনিস রাজ্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত গল্পটি হলো রাজা আর্থারের কিংবদন্তী। সেখানে বিখ্যাত বীর ত্রিস্তানের বাসস্থান হিসেবে লায়োনিসের উল্লেখ রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, যে প্রলয়ের ফলে লায়োনিস ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল তা আসলে ঘটেছিল কিংবদন্তীর সেই রাজা আর্থারের সময়কালেই।
তবে গবেষকরা উক্ত স্থানে খোঁজাখুঁজি করে হারানো সেই শহরের কোনো চিহ্ন খুঁজে পান নি। ধারণা করা হয়, ৩,০০০ বছর নিমজ্জিত থাকার ফলে গোটা সভ্যতাটি সমুদ্রে বহু গভীরে হারিয়ে গিয়েছে। সূত্র: রোর বাংলা মিডিয়া
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.