আমাদের সমাজের বেশির ভাগ জনই বলে থাকেন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের সনদের মান এইচএসসির সমমান। তবে এখানে প্রমাণ হিসেবে কিছু চাকরির বিজ্ঞপ্তি ছাড়া আর কিছুই উপস্থাপন করতে পারছেন না তারা। অর্থ্যাৎ মুখের কথা ছাড়া আর কোন প্রমাণ নেই।
বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সরকারি ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায় যে, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মান গ্রেড-১৪ যেখানে এইচএসসি’ র মান গ্রেড-১২ এবং অনার্সের মান গ্রেড-১৬। (এটা চাকরির গ্রেড নয় শিক্ষার গ্রেড)
এছাড়া এইচএসসিকে দেখানো হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে আর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দেখানো হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা স্তরের মাঝামাঝি স্থানে।
🔷এবার আসি চাকরি ক্ষেত্রে:
একজন এইচএসসি সনদ-ধারী তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করেন। যেখানে বেতন স্কেল – মূল বেতন ৯৩০০/- সর্বসাকুল্যে ২২৪৯০/- এবং তাকে সারাজীবন একই পদে চাকরি করে যেতে হয় অর্থাৎ তার কোন পদোন্নতি হয় না।
অন্যদিকে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করেন। বেতন স্কেল-মূল বেতন ১৬০০০/ – সর্বসাকুল্যে ৩৮৬৪০/- তারা ক্রমে ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হতে পারেন। যা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত কাউকে পেতে হলে কমপক্ষে অনার্স অথবা মাস্টার্স সম্পন্ন হতে হয়।
আবার ডিপ্লোমা শেষে পাওয়ের সেক্টরে চাকরি করলে তার বেতন হবে ৩০-৯০ হাজার টাকা । যেটা একজন জেনারেল স্টুডেন্ট কখনোই কল্পনা করতে পারবে না।
🔷অনেকেই আবার বলেন:
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে আবার বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে তবে জেনারেলদের চেয়ে দুই বছর বেশি সময় ব্যয় করতে হয়।
এখানে আপনি দুটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী পাচ্ছেন।
১. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী।
২. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী।
এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অভিজ্ঞতার দিক থেকে আপনি এক ধাপ এগিয়ে থাকবেন। এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার উভয় পদে আবেদন করতে পারবেন।
সুতরাং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কখনোই এইচএসসি এর সমমান নয়। বরং এইচএসসি এর চেয়ে একধাপ এগিয়ে। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.