“টিফিনের টাকায় শিশুদের পড়ালেখা”

দশমিক নামক দেশের এক ফাউন্ডেশন নিঃস্বার্থভাবে ছিন্নমূল শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে টাঙ্গাইলের কাগমারীতে ‘দশমিক ফাউন্ডেশনের’ কার্যক্রম শুরু হয়। ছিন্নমূল শিশুদের পড়ালেখা করানোই ছিল মূল লক্ষ্য।

‘দশমিক ফাউন্ডেশনের’প্রতিষ্ঠাতা মিনারুল ইসলাম প্রথমে কয়েকজন বন্ধুকে তার স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘শিক্ষাদীক্ষা’ সম্পর্কে জানান। যার ফলে কয়েকজন বন্ধু তার কাজে এগিয়ে আসেন। সকলের মিলিত প্রচেষ্টার প্রথম প্রজেক্ট ছিল শিক্ষাদীক্ষা। এর আওতায় কিছু দরিদ্র, ছিন্নমূল শিশুদেরকে পড়াশোনার জন্য বই, খাতা, কলম প্রয়োজনীয়  উপকরণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রায় ১০০ শিশুর দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।

‘দশমিক ফাউন্ডেশনের’প্রতিষ্ঠাতা মিনারুল ইসলাম বলেন, ‘টিফিনের টাকা জমিয়ে প্রতিমাসে তাদের জন্যে খাবার দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে ফাউন্ডেশনে সদস্য বেড়েছে। সঙ্গে দায়িত্বও বাড়ছে। প্রতিমাসে দশমিকের সকল সদস্যরা ১০০ টাকা চাঁদা হিসেবে দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই টাকা দিয়েই শিশুদের খাওয়া, পড়াশোনার যাবতীয় জিনিসপত্র, কাপড়, চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ বিনোদনেরও ব্যবস্থা করা হয়। আমার প্রধান লক্ষ্যই ছিল ছিন্নমূল শিশুদের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা দেওয়া। কারণ তাদের মাঝেও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।’

টাঙ্গাইলের কাগমারী বস্তিতে দশমিক পাঠশালার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে প্রায় ৩০ জন শিশুকে শিক্ষা প্রদান করার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে তারা। দশমিক ফাউন্ডেশনের সদস্যরা প্রতিদিন এসব শিশুকে পড়াতে শুরু করেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মিনারুল ইসলামও দৈনিক তার নিজের পড়াশোনা শেষ করে বিকেলে তাদের ক্লাস নেন।

ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষাদানের পাশাপাশি শীতের আমেজে পিঠা উৎসবেরও আয়োজন করে সংগঠনটি। এ ছাড়াও প্রায়ই তাদেরকে চকলেট বা কেক খাওয়ানো জয়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে সংগঠনটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের খাবার দেওয়া, ঈদে নতুন পোশাক, শীতার্থদের কম্বল বিতরণ, বন্যায় কবলিত মানুষদের খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসার ব্যবস্থা, ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে মুখোরোচক খাবার দেওয়া, পশুপাখিদেরও খাবার খাওয়ানো ও সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজ করে।

বর্তমানে দশমিক ফাউন্ডেশনের ২ টি শাখা রয়েছে টাংগাইল ও ময়মনসিংহে। সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭০ জন। যেখানে সকলে প্রতি মাসে ১০০ টাকা চাঁদা দেন। একই সাথে দশমিক ফাউন্ডেশনের কাজ দেখে খুশি হয়ে স্থানীরাও সংগঠনের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সূত্র: জাগোনিউজ  

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]] 

                                          

Comments are closed.