ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মাতৃভাষা ‘ককবরক’ রক্ষায় উদ্যোগ
বাংলাদেশের প্রথমবার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মাতৃভাষা ‘ককবরক’ রক্ষায় নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন এই ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে কুমিল্লার দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন। নতুন প্রজন্মের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে উদ্বোধন করা হয়েছে স্কুলও।
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা ‘ককবরক’। এ ভাষায় স্বরবর্ণ ১২টি, আর ব্যঞ্জনবর্ণে রয়েছে ৪০টি অক্ষর। কালের বিবর্তনে হারাতে বসেছে ত্রিপুরাদের মাতৃভাষা। একে টিকিয়ে রাখতে তাই পদেক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ ঘোষ বলেন, ত্রিপুরার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাদের ভাষাটি যেন তুলে দেয়া যায় সেই চিন্তা থেকেই ত্রিপুরা পল্লীর ‘ককবরক’ স্কুলটির প্রতিষ্ঠা করা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ক্ষুদ্র এ নৃ-গোষ্ঠির শিশুদের নিয়ে কুমিল্লা কোটবাড়িতে যাত্রা শুরু ত্রিপুরা পল্লী ককবরক মাতৃভাষা স্কুলের। মাতৃভাষায় স্কুল গড়ে ওঠায় আনন্দিত ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। যার ফলে উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কুমিল্লার কোটবাড়িতে ত্রিপুরা পল্লীতে বাস ৪০টি পরিবারের। তাদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরা মাতৃভাষা শেখার। নতুন দুয়ার খুলেছে গবেষণারও। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.