বর্তমানে বিজ্ঞান আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আমাদের প্রত্যেক কাজের পিছনে বিজ্ঞানের অবদান অনেক। বিজ্ঞান শুরু হয়েছিল মহাবিশ্ব সৃষ্টি বা বিগ ব্যাঙ থেকে এবং মহাবিশ্ব ধ্বংস হওয়ার শেষ সময় পর্যন্ত বিজ্ঞানের অবদান থাকবেই। বর্তমানে আপনার কথাই বলা যাক, আপনি আমার এই লেখাটি পড়ছেন স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের সাহায্যে,যা বিজ্ঞানেরই অবদান।
এখন আসি বিজ্ঞান কি বা কাকে বলে? আমরা যা দেখছি সেটা কোন না কোন কারণে সৃষ্টি হয়েছে। এটা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ, গবেষণা করাই হলো বিজ্ঞান। অর্থাৎ ভৌত জগতের যা কিছু পর্যবেক্ষণের যোগ্য, তা পর্যবেক্ষণ, গবেষণা ও উপযুক্ত তত্ত্ব ও তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ করাকে বিজ্ঞান বলে।
এবার আসি, আমরা কেন বিজ্ঞান সম্পর্কে জানবো? বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞানের যুগ। তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের কল্যাণে এখন সবকিছুই সহজলভ্য হয়ে ওঠেছে৷ এই আধুনিক বিশ্বকে জানতে আমাদেরকে বিজ্ঞান শিখতে হবে। তাছাড়াও প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে এখন টিকে থাকতে হলে আমাদের বিজ্ঞান শিখতে হবে। কারণ এখন প্রতিক্ষেত্রেই মানুষ আবিষ্কারের নেশায় ছুটছে যাতে সাহায্য করছে বিজ্ঞান। তাই আমাদের নিত্যনতুন বিশ্বকে জানতে এবং আবিষ্কার করতে বিজ্ঞান শিখতে হবে।
এখন আপনারা বলুন তো, আপনি কেন বিজ্ঞান শিখবেন বা এটা নিয়ে পড়বেন? আপনার উত্তরটা আমি বলি, আপনি বিজ্ঞান শিখবেন বা বিজ্ঞান নিয়ে পড়বেন কারণ আপনার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এবং নিজের ভালো ক্যারিয়ারের জন্য। মূল কথায়, আপনি অর্থ উপার্জনের জন্য বিজ্ঞান শিখবেন তাই তো?
হ্যাঁ, আমরা প্রায় সবাই বিজ্ঞানকে আমাদের দেশে এই বিজ্ঞান শেখাটাকে শিক্ষনীয় হিসেবে দেখি না। সবাই নিজের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য বিজ্ঞান শেখে এবং পড়ে। যা বিজ্ঞানের মূল শিক্ষাটাকে নষ্ট করে দেয়। বিজ্ঞান হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান। যা সবারই জানা প্রয়োজন। বিজ্ঞান জানার মাধ্যমে আপনি সবকিছুই আপনার মতো করে আবিষ্কার করতে পারবেন। প্রকৃতির মুল রহস্য, এর সৃষ্টি, ভূমিকা, বিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে জানতে পারবেন। এসব কিছু অর্থ উপার্জনের চেয়ে কম? মোটেই না। বরং এটাই হচ্ছে বিজ্ঞানের আসল শিক্ষা।
আমাদের মনে রাখতে হবে বিজ্ঞান কোন সাধারণ জ্ঞান নয়, এটি এক ধরনের বিশেষ জ্ঞান। আমরা কাল যা কল্পনা করতে পারতাম না বিজ্ঞান আজ সেটাকে সম্ভব করে তুলেছে। এটা হচ্ছে বিজ্ঞানের সাফল্য। এটা অর্থের শিক্ষার চেয়ে এই সাফল্যের জ্ঞান অর্জন করা অনেক বেশি উৎসাহের। আর আমাদের প্রত্যেকের উচিত বিজ্ঞানের মূল জ্ঞান বা রহস্য উন্মোচন করা এবং তার প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করা।
নওশিন জাহান
দশম শ্রেণী, এডভোকেট খলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, জামালপুর।
[শিশুরাই তোলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.