আয়রন ম্যান কে চিনেন না? বর্তমানে যারা মুভি দেখতে পছন্দ করেন বা কিশোর-কিশোরী সবাই চিনে মোটামুটি। মারভেল সিনেমেটিক গ্রেট অন্যতম ক্যারেক্টার আয়রন ম্যান। মূলত টনি স্টারক (আইরন ম্যান) প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কারের জন্য পরিচিত।
সেটা শুধু মাত্র সিনেমার জগৎেই সম্ভব হয়েছে। তবে এলন মাস্কও তেমনই একজন প্রায়। তিনি বর্তমানে অনেক জিনিস আবিস্কার করেছেন। তার সাথে তিনি টেসলা,স্পেস-এক্স এর সিইও বটে। এলন মাস্ক ফরব্স এর তালিকাকৃত ‘পৃথিবীর ক্ষমতাবান মানুষদের তালিকায় ২১ নম্বরে আছেন। তার সম্পত্তির পরিমান ২৩.৬ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে তিনি পৃথিবীর ৪০ তম ধনী ব্যক্তি। এলনের আবিষ্কার বর্তমানে জনগণের অনেক কাজে লাগছে। জেমন-তার আবিষ্কার করা ইলেকট্রিক কার যা টেসলা কোম্পানির বানানো। এটিতে পেট্রোল বা জ্বালানি লাগে না যার ফলে এটি কার্বন-ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে না যা পরিবেশের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ও ফেলে না। আবার তার কোম্পানি স্পেস-এক্স যা একটি মূলত মহাকাশে ব্যবহার করা যায়।
আমাদের এই যে বঙ্গবন্ধু-স্যাটে্লাইট মহকাশে নিক্ষেপ করা হয়েছিল ফাল্কন-৯ রকেট ব্যবহার করে যা তারই আবিষ্কার। চলুন এবার এলন মাস্ক এর বেপারে একটু বিস্তারিত জানি।
এলন মাস্ক এর পুরও নাম এলন রীভ মাস্ক যা অনেকেই জানে না। তিনি ২৮ জুন ১৯৭১ সালে সাউথ আফ্রিকা এর প্রিটরিয়া অঞ্চলে জন্ম নেন। বাবার নাম এরল মাস্ক, মায়ের নাম মায়ে মাস্ক। এলনের বর্তমান আবাসস্থল আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার লস আঞ্জেলস এ। এছাড়া তার সাউথ আফ্রিকা, ক্যানাডা ও আমেরিকার নাগরিকত্ব আছে। ১৭ বছর বয়সে কুঈন্স ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য ক্যানাডা চলে যায় তিনি। তিনি ইকোনমিক্স ও ফিসিক্স এ ব্যাচলার ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি পিএইচডির জন্য স্ট্যানফোর্ড এ ভর্তি হন তবে একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য যোগদানের ২ দিন পরই ইউনিভার্সিটি ত্যাগ করেন। এতে শিক্ষা জীবনের ইতি এখানেই ঘটে।
এলন মাস্ক এর প্রথম কোম্পানির নাম Zip2.তিনি অনেক কোম্পানির ফাউন্ডার এবং ক-ফাউন্ডার।
চলুন এক নজরে তা দেখে নেয়:
কোম্পানি | পদবী |
স্পেস-এক্স | ফাউন্ডার,সিইও,লিড ডিসাইনার |
টেসলা | সিইও |
নিউরালিঙ্ক | কো-ফাউন্ডার |
দা বোরিং কোম্পানি | ফাউন্ডার |
Zip 2 | কো-ফাউন্ডার |
X.com(বর্তমানে PayPal) | ফউন্ডার |
সোলার সিটি | চেয়ারম্যান |
বর্তমানে এলনের অনেক অ্যাওয়ার্ড রয়েছে। যার মধ্যে রয়্যাল সোসাইটির মেম্বারশিপ অন্যতম। ২০১৭ সালে তিনি ‘অসলো বিজনেস ফর পীস ‘অ্যাওয়ার্ড পান।
এলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সাস্তটেইনেবল এনার্জি এর ব্যবহার বাড়ানো যার ফলে বৈশ্বিক উষ্বনায়ন হ্রাস পাবে।তিনি মঙ্গল গ্রহে মানুষদের কলনি বা বাসস্থান তৈরি করার জন্যেও আগ্রহি।যার পরিকল্পনা তিনি ইতি মধেই প্রকাশ করেছেন।
মোঃ ফাহিম হাসান ইরাম
নবম শ্রেণী, সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইশ্বরদী,পাবনা।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.