বিজ্ঞানের যে বিষয়টি আমার বেশি ভালো লাগে

বিজ্ঞান শব্দটির সাথে বর্তমানে সবাই জড়িত। এমন কোন মানুষকে পাওয়া যাবে না যে বিজ্ঞান সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। বিজ্ঞান পৃথিবীকে দিয়েছে আত্মতৃপ্তি পাওয়া ক্ষমতা। বর্তমান সকল কাজকে সহজ করেছে বিজ্ঞান।

এই বিজ্ঞানেরও কিছু প্রকারভেদ আছে। বিষয় অনুযায়ী বিজ্ঞান ৩ প্রকার: পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান। আর বাকি থাকল গণিত। গণিত হচ্ছে বিজ্ঞানের রাণী। প্রকৃতি থেকে বিজ্ঞান যেভাবে আবিস্কার হয়েছে ঠিক সেভাবেই গণিতের সংখ্যাও আবিষ্কার হয়েছে। যাইহোক এখন আমার কথায় আসি, আমার বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর মধ্যে “পদার্থবিজ্ঞান” সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

বিজ্ঞানের মতে, পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের রাজা। পদার্থবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে দাড়িয়েছে রসায়ন, তারপর রসায়নের উপর ভিত্তি করে দাড়িয়ে জীববিজ্ঞান, আবার জীববিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে দাড়িয়ে অন্যান্য বিষয়। পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে পুরোটাই রহস্যজনক এবং এর আবিষ্কৃত রহস্যগুলো সত্যই অবাক করার মতো। আর এই জন্যই আমার বিজ্ঞানের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। পদার্থবিজ্ঞানের কিছু প্রাকৃতিক রহস্যের আবিষ্কার জানলে প্রায় সবাই অবাক হবে এবং পদার্থবিজ্ঞানের প্রেমে পড়ে যাবে।

বর্তমান পদার্থবিজ্ঞানের জনক আলবার্ট আইনস্টাইনের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিজ্ঞান যেন অনেকটাই প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ১৯০৫ সালে এই বিজ্ঞানীর লেখা বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের রচনা একটি বিজ্ঞান পত্রিকা ‘Allender Physics’ এ প্রকাশিত হয়। এরপরই আইনস্টাইনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সামনে আসে এবং তা হলো সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব। এই দুই তত্ত্বই যেন পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তিকে আরও মজবুদ করেছে। এই দুই থিওরির মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞানের খুব উপকার হয়েছে। এবং কোন গভীর রহস্য ভেদ করার জন্য এই দুই থিওরি খুবই প্রয়োজনীয়।

পদার্থবিজ্ঞানের গভীর রহস্যগুলোর জন্য এই বিষয়টি আমার খুব ভালো লাগে। বর্তমানে যেমন পদার্থবিজ্ঞানের চর্চা হয়েছে ঠিক তেমনই এই বিস্তার অতিত থেকেই হয়ে আসছে। অতিতেও বড় বড় বিজ্ঞানীরা পদার্থবিজ্ঞানের উপর চর্চা করে আসছে এবং আবিষ্কারও করে আসছে।

নিউটনের কথা আপনারা প্রায় সবাই জানেন। নিউটন বলবিদ্যার ব্যাখা দিয়েছেন, সাথে সাথে তিনি ক্যালকুলাসও আবিষ্কার করেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিউটন মহাকর্ষের সূত্র ভেদ করেছেন। গ্যালালিও পড়ন্ত বস্তুর সূত্র বর্ণনা করেছেন। বাঙালী বিজ্ঞান সত্যোন্দনাথ বসু বোসন কণার আবিষ্কার সম্পর্কে ধারনা দিয়েছেন। এবং তা বর্তমানে আবিষ্কারও হয়েছে। এরকম আরও অনেক রহস্য আছে যেসব পড়লে ও জানলে পদার্থবিজ্ঞানকে আরও বেশি করে পড়তে ইচ্ছে করবে। এইজন্যই আমার পদার্থবিজ্ঞান বিষয়টি খুব ভালো লাগে।

নওশিন জাহান
দশম শ্রেণী, এডভোকেট খলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, জামালপুর।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]

1 Comment
  1. Md Ferdous says

    খুব সুন্দর

Comments are closed.