বর্তমানে স্পেস সাইন্টিস্টদের অন্যতম প্রকল্প মঙ্গল গ্রহে কিভাবে মানুষদের জন্য বসবাসযোগ্য করা যায়। তারই একটা প্রকল্প নিয়ে এসেছেন এলন মাস্ক বা স্পেসএক্স এর প্রতিষ্ঠাতা। চলুন স্পেস এক্স কিভাবে মঙ্গলে বসতি স্থাপন করতে যাচ্ছেন তা একটু বিস্তারিত দেখে নেয়া যাক।
এলন মাস্ক সম্প্রতি তার ‘ মার্স কলনাইযিং “ প্ল্যান প্রকাশ করেছেন। তিনি ২০২৪ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর প্ল্যান করতেছেন। নাসা ২০৪০ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর প্ল্যান করতেছে। সবার প্রথমে ২০২২ সালে এলন মাস্ক ২ টা মহাকাশ যান মঙ্গলে পাঠাবেন। সেগুলো কারগো শিপ্স বা মালপত্র নিয়ে যাবে। এগুলোর মধ্যে থাকবে সোলার প্যানেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি।
আসলে মঙ্গল এবং পৃথিবী যখন সঠিক ভাবে লাইন্ড আপ থাকে তখন পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যাওয়া সম্ভব এবং এটি হয়ে থাকে প্রত্যেক ২৬ মাসে। মোটামুটি ৯ মাস যাত্রা করার পর মঙ্গলের অরবিটে যাওয়া যায়। মিশনটি সফল হলে ২০২৪ সালে আরও ৪ টি মহাকাশ যান পাঠানো হবে যার মধ্যে ২ টা থাকবে এস্ট্রনটস আর বাকি ২ টা হবে মালামাল দিয়ে পূর্ণ। প্রত্যেক মহাকাশ যান ৬/৮ জন মানুষ নিতে সক্ষম। আর ২ টা কারগো শিপ্স এ থাকবে সোলার প্যানেল আর মাইনিং ম্যাশিন। যখন এস্ট্রোনটস মঙ্গলে পৌঁছাবে তখন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি সেখানে উপস্থিতই থাকবে।
প্রথম মিশন এর লক্ষ্য হলো পানির সবচেয়ে ভালো উৎস খুঁজে বের কর। আর ২য় মিশন এর মূল লক্ষ্য হলো বসতি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি স্থাপন করা। যেগুলো আকারে অনেক বড়। এখন প্রশ্ন হল তারা সেখানে গিয়ে কি করবে ? তারা মঙ্গল এর অনেক জায়গা ঘুরে দেখবে এবং সেখানে গবেষণা করবে।তারা থাকবে কোথায়? এজন্য মূলত ২ টা প্ল্যান রয়েছে। তবে কোনটা তারা কার্যকর করবে তা নিয়ে এখন কোন কথা শোনা যায় নাই। তাদের একটা প্ল্যান হলো মাটির নিচে বসতি স্থাপন করা, এর কারণ মঙ্গলের আবহাওয়া খারাপ এবং রেডিয়েশন থেকে বাঁচার জন্য। এস্ট্রোনটসরা প্রথম ২ বছরের খাবার সাথে নিয়ে যাবেন। তবে তারপরের জন্য তারা গ্রিন হাউস স্থাপন করবে।
মঙ্গলের বায়ুমন্ডল খুবই পাতলা। সেখানে প্রাই ৯৬% কার্বন ডাই-অক্সাইড। সেখানে ধারণা করা হচ্ছে বরফ শিলা রয়েছে। যেখান থেকে পানি পাওয়া সম্ভব। কার্বন ডাই-অক্সাইড আর অক্সিজেন (O2) ব্যবহার করে মিথেন বানানো সম্ভব।এতে যা দিয়ে মহাকাশ যানের জন্য জ্বালানি তৈরী করা সম্ভব। মঙ্গলের ভূমিতে চলাচলের জন্য তারা সেখানে ব্যবহার করবে একটি যন্ত্র, জানা যায় অ্যাপোলো অভিযানের সময় যে লুনার ক্র্যাফট ব্যবহার করা হয়েছিল অনেকটা দেখতে সেই যন্ত্রটির মতোই। এভাবেই তারা ধীরে ধীরে মঙ্গল গ্রহকে বসবাস যোগ্য করে তুলবে।
মোঃ ফাহিম হাসান ইরাম
নবম শ্রেণী, সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইশ্বরদী,পাবনা।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.