গ্রামেগঞ্জে ঘুরে ঘুরে লালনের বন্দনা ছাড়াও সব ধরনের গানই গাইতে পারেন শ্যামল। শুধু গানই নয়, গজলও গেয়ে থাকেন তিনি। মুন্সীগঞ্জের সবাই তাকে শ্যামল বাউল হিসেবে এক নামে চেনে।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে নিজের জীবনের গল্প নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাউল শ্যামল হোসেন।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মোল্লারচর গ্রামের শ্যামল বাউল হোসেন জন্ম থেকে অন্ধ। শ্যামলের পরিবারে স্ত্রী-ছেলে-মেয়েসহ ছয়জন সদস্য রয়েছে। নিজের জমি কিংবা ঘর নেই। বাবারও কোনো জমি ছিলো না। মানুষের বাড়িতে থাকেন।
শ্যামল হোসেন বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই চোখে দেখতে পাই না। অনুভূতি নিয়ে চলি। যেমন আমার কাছের মানুষ যারা আছেন, তাদের হাত ধরলেই আমি বলে দিতে পারি এটা অমুক-এটা তমুক।
বাউল বলেন, আমার জীবনে গান গাওয়া শুরু ওস্তাদ ছাড়া। ওস্তাদ ছাড়াই গান শিখেছি। গান আমার মধ্যে কীভাবে আসছে তা আমি নিজেও জানি না। ছোটবেলা থেকে গানের সঙ্গে ছন্দ মিলাতাম। একটা গান একবার দুইবার শুনলেই মুখস্ত করতে পারি। পরে আস্তে আস্তে গানের যন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় হয়।
আরও বলেন, আমি গান ছাড়া মানুষের বাড়িতে মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করি। গজল গেয়ে থাকি। করোনা আসার পর থেকে এখন কোনো গানের প্রোগ্রাম ও মিলাদ মাহফিল হয় না। এতে অনেক আর্থিক সমস্যা হচ্ছে। জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জেলা প্রশাসন থেকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে। সূত্র: রাইজিংবিডি
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.