সৌন্দর্যের লীলাভূমি হাকালুকি

দেশের সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকি। যতদূর চোখ যায় পানি ছাড়া আর কিছু দেখা মিলে না। সবুজ প্রকৃতিতে আকাশ আর পানি যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে রয়েছে। গোধূলি বেলায় বিলের আকাশে উড়ে চলা পাখির দলের সৌন্দর্য প্রকৃতিকে আরও সুন্দর করে তুলে।

হাকালুকি এশিয়া মহাদেশের অন্যতম মিঠাপানির হাওর। এটি মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত হলেও হাকালুকি হাওরের প্রায় অর্ধেক পড়েছে বড়লেখা উপজেলায়।

হাকালুকি হাওরের চারদিকে থইথই পানি, সাগরের মতো ঢেউ আর দূরে দূরে ছোট ছোট হাওর দ্বীপ সবুজে ঘেরা। নৌকা নিয়ে হাকালুকি হাওরের বুকে ভেসে বেড়ানোর সেই আনন্দ। মিনি কক্সবাজার হিসেবেও পরিচিত হাকালুকি হাওর। হাকালুকি হাওর শীতে বা বর্ষা দুই সময়ে পাবেন আলাদা আলাদা আনন্দ।

হাকালুকি হাওরে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের সব মিলিয়ে প্রায় ২৩৮টি বিল রয়েছে। জীব বৈচিত্র্যের সমাহার আর মিষ্টি পানির মৎস্য প্রাপ্তির এক অভূতপূর্ব স্থান।

অতিথি পাখির কলরবে হাওর এলাকায় নৈশব্দের সৃষ্টি করে। এছাড়া বর্ষাকালে একে হাওর না বলে এক সমুদ্র বলা যেতে পারে। বিলের পানির মাঝে ও চারিধারে জেগে থাকা সবুজ ঘাসের গালিচায় মোড়া কিঞ্চিৎ উঁচুভূমি বিলের পানির প্রতিচ্ছবি ফেলে অপরূপ দৃশ্য সৃষ্টি করে।

জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর এ হাওরে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছ। বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীও রয়েছে। এই হাওরে ৫২৬ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১১২ প্রজাতির অতিথি পাখি ও ৩০৫ প্রজাতির দেশীয় পাখি, ১৪১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও ১০৭ প্রজাতির মাছ রয়েছে।

হাকালুকি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি, যা বছরের বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। শীতকালে হাওরে অতিথি পাখির আগমনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সমৃদ্ধ করে। হাকালুকি হাওরের চকিয়া, জল্লা, হাওরখাল, পিংলা, কালাপানি, মালাম, বাইয়াগজুয়া, নাগুয়ালরীবাই, ফুটবিল ও কৈয়াকোনা হাওরে বিভিন্ন জাত ও রঙের অতিথি পাখি দেখা মিলে।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]

Comments are closed.