নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে ৩২ দেখায়, প্রতিবারই হারের স্বাদ নিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে, টাইগার পেসার এবাদত হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইতিহাস রচনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। এই পেসার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন কিউইদের।

ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে শিকার করেছেন ৬ উইকেট। পঞ্চম দিনে কিউইদের বাকি ৫ উইকেট তুলে নিতে বাংলাদেশ খরচ করেছে মাত্র ২২ রান। ফলে, জয়ের জন্য টাইগারদের সামনে লক্ষ্যটা মাত্র ৪০ রানের।

আগের দিনের ঝড়ো এক স্পেলে, ম্যাচের মোমেন্টাম বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে এসেছিলেন এবাদত হোসেন। ৭ বলের ব্যবধানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। চতুর্থ দিনে পাওয়া মোমেন্টাম পঞ্চম দিনে এসেও কাজে লাগান এই পেসার। দিনের শুরুতেই নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান রস টেলরকে। আর তাতেই দীর্ঘ ৯ বছরের আক্ষেপ মেটান এবাদত।

২০১৩ সালে জিম্বাবুয়েতে সবশেষ টেস্টে পেসার রবিউল ইসলাম এক ইনিংসে পেয়েছিলেন ৫টি উইকেট। এরপর পেরিয়েছে ৯ বছর, কিন্তু টেস্টে টাইগার পেসারদের জন্য ৫ উইকেট শিকার যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবার এবাদত হোসেন এসে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটান। ২ চারে ১০৪ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন টেলর।

টেলরের পর কাইল জেমিসনকে ফিরিয়ে কিউইদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন সিলেটের এই পেসার। এরপর এবাদতের সঙ্গে উইকেটের নেশায় মত্ত হন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। পরপর দুই ওভারে ফেরান রাচিন রবীন্দ্র ও টিম সাউদিকে। শেষে ট্রেন্ট বোল্টকে ফিরিয়ে কিউইদের কপিনে শেষ পেরেকটি মারেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। আর তাতেই দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ফলে, জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ রানের।

ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪৬ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন এবাদত হোসেন। তাসকিন আহমেদের শিকার ৩টি উইকেট। মিরাজের শিকার একটি উইকেট। সূত্র: নট আউট

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]

Comments are closed.