ডায়াবেটিস রোগীদের যেফল খাওয়া নিষেধ

ডায়াবেটিস এক প্রকার দীর্ঘমেয়াদী রোগ, যা একবারে শেষ হয় না। তাই ডায়াবেটিসে হলে সারাজীবন ভুগতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের অত্যন্ত সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সঠিক সময়ে সঠিক খাদ্য পরিমাণ মতো গ্রহণ করা। ফল স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারি হলেও ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কিছু কিছু ফল মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

জেনে নিন ডায়াবেটিস রোগীদের যে সকল ফল খাওয়া যাবে না:

আনারস: আনারস মিষ্টি-রসালো ফল। ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত আনারস খেলে তা ব্লাড সুগার লেভেলের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আনারস বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আম: ১০০ গ্রাম আমে প্রায় ১৪ গ্রাম চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করার ভারসাম্যকে আরও খারাপ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফল না খাওয়াই ভালো।

কলা: কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সকলের জানা আছে। তবে কলাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের কল খাওয়া খুব একটা উপকারি নয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তবে কলায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) থাকে।

তরমুজ: তরমুজে ফাইবার এবং ক্যালোরি কম থাকে। এতে GI ভ্যালু হল ৭২ এবং হাফ কাপ তরমুজে প্রায় পাঁচ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে। তাই তরমুজ ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আঙুর: আঙুরে ফাইবার, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থাকলেও, এতে শর্করার পরিমাণও রয়েছে। ৮৫ গ্রাম আঙুরে প্রায় ১৫ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফল না খাওয়াই ভালো।

সবেদা: প্রতি ১০০ গ্রাম সবেদায় প্রায় ৭ গ্রাম শর্করা থাকতে পারে এবং এর GI ভ্যালু হল ৫৫। এতে কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করাও উচ্চ পরিমাণে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যা ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই এই ফল না খাওয়াই ভালো।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]

Comments are closed.