দেশি ফলের মধ্যে জলপাই অন্যতম। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানে পরিপূর্ণ। সেইসঙ্গে ভিটামিন সি এর ভালো উৎস। জলপাইয়ের চাটনি, জলপাই ভর্তা কিংবা সালাদেও জলপাই ব্যবহার করে খাওয়া যায়।
জেনে নিন জলপাই খাওয়ার উপকারিতা-
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : জার্মান ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে জলপাই। জলপাইয়ে আছে স্কোয়ালিন এবং টারপেনয়েড নামক উপাদান। এই দুই উপকারী উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। তার মানে এই নয় যে ক্যান্সার ধরা পড়লেও জলপাই খেয়ে তা কমিয়ে ফেলতে পারবেন। বরং নিয়মিত জলপাই খেলে তা ক্যান্সার হওয়া থেকে আপনাকে দূরে রাখতে পারে।
হার্ট ভালো রাখে : হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে জলপাই। খাবার তৈরিতে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করলে তা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এমনটাই প্রকাশ হয়েছে এনসিবিআই ওয়েবসাইটে। সেইসঙ্গে হ্রাস করে উচ্চ রক্তচাপও। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
চোখ ভালো রাখে : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান্নায় জলপাই তেল ব্যবহার করলে তা এজ-ইনসুলেটেড ম্যাকুলার ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে, এটি হলো বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা। তাই চোখের জ্যোতি বাড়াতে রান্নার কাজে নিয়মিত জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করুন।
ওজন কমায় : জলপাই নিয়ে হওয়া বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে এতে থাকা লিনোলিক অ্যাসিড শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে জলপাই বা জলপাই তেল হজমের সময় এই বিশেষ অ্যাসিড বেশ কিছুটা উৎপাদিত হয়। ফলে তা শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে : জলপাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ের তেল ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এই ইনসুলিন। তাই জলপাই বা জলপাইয়ের তেলকে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।
Comments are closed.