পান্তা ভাতের সঙ্গে মাছ ভাজা, ভর্তা, কাঁচা পেঁয়াজ, লবণ এমনকী আর কিছু না থাকলে একটি শুকনো মরিচ ভাজা ডলে নিয়েও ভাত খাওয়া যায়। গবেষণা বলছে, পান্তা ভাত খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করে। তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পান্তা ভাতের বিকল্প নেই।
পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ: পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, পানিতে ভেজা পান্তাভাতের শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এই ভাতে থাকে প্রচুর পকার্বোহাইড্রেট। ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কার্বোহাইড্রেটের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট্য আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। সারারাত ফার্মেন্টেশনের কারণে ভিটামিন বি টুয়েলভের মাত্রা বেড়ে যায় এই ভাতে। যে কারণে দূর হয় ক্লান্তি ও অনিদ্রা।
রক্তচাপ ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করে
পান্তা ভাত ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফলে এই ভাত খেলে কমে কোষ্ঠকাঠিন্য। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে পান্তা ভাত খেতে পারেন। এই সমস্যায় পান্তা ভাত বেশ কার্যকরী। এই ভাতে সাধারণ ভাতের তুলনায় সোডিয়াম কম থাকে। অপরদিকে পটাশিয়ামের পরিমাণ থাকে বেশি। এই উপাদান শরীরের নানাভাবে উপকার করে।
ওজন কমায়: পান্তা ভাতে ফারমেন্টেশনের কারণে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট কমে যায় অনেকটাই। তাই পান্তা ভাত খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে খেতে হবে সীমিত। পান্তা ভাতকে বিউটি সিক্রেট অফ এশিয়াও বলা হয়। কারণ আমাদের ত্বকে কোলাজেন তৈরি করতে কাজ করে পান্তা ভাত। ত্বকের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধিতে কাজ করে এই ভাত।
শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে: বডি রিহাইড্রেটিং ফুড বলা হয় পান্তা ভাতকে। তীব্র গরমে পান্তা ভাত তাই খুবই উপকারী একটি খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পান্তা ভাতে আছে ইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা শরীরের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি মেটায়। একশো গ্রাম সাধারণ ভাতে ৩.৪ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। অপরদিকে পান্তা ভাতে আয়রন থাকে প্রায় ২১ গুণ বেশি।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.