ফুলকপির উপকারিতা সম্পর্কে

শীতের অন্যতম আকর্ষণীয় সবজি হলো ফুলকপি। এই সবজি দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। সেইসঙ্গে এটি পুষ্টিকরও। ফুলকপি দিয়ে নানা স্বাদের খাবার তৈরি করা যায়। ফুলকপি খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে।

জেনে নিন ফুলকপির উপকারিতা সম্পর্কে-

ফাইবার বেশি: ফাইবার যেকোনো খাদ্যের একটি প্রয়োজনীয় অংশ। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। মাত্র এক কাপ ফুলকপি দিয়ে আপনার দৈনিক ফাইবারের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব। এই সবজি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। নিয়মিত ফুলকপি খেলে তা হজম এবং কার্ডিয়াক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে।

কোলিনের ভালো উৎস: কোলিন হলো এক ধরনের পুষ্টি যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং বিপাকের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত কোলিন গ্রহণ করলে তা স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক কাপ ফুলকপিতে প্রতিদিনের চাহিদার প্রায় ১১ শতাংশ কোলিন পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তার প্রদাহ বিরোধী প্রভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষমতার জন্য পরিচিত। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন উপকারী সবজি ফুলকপিতে। যে কারণে ফুলকপি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ভিটামিন কে বেশি থাকে: ভিটামিন কে আমাদের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চর্বি-দ্রবণীয় এই ভিটামিন হাড়ের বিপাক, রক্তের ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ত জমাট বাঁধতে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। ফুলকপি আপনার প্রয়োজনীয় দৈনিক ভিটামিন কে-এর প্রায় ২০ শতাংশ পৌঁছে দেয়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: ফুলকপির প্রতি কাপে মাত্র ২৫ ক্যালোরি থাকে। কেউ ওজন কমাতে চাইলে তার জন্য সবজিটি দারুণ সহায়ক হতে পারে। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমকে ধীর করে দিতে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে কাজ করে। ফুলকপির ৯২ শতাংশ পানি দিয়ে তৈরি। তাই ফুলকপি খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ফুলকপি খেলে তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে পারে।

Comments are closed.