শতবর্ষী পুরনো ইতিহাসিক আমগাছ

প্রায় তিন একর জমিতে অক্টোপাসের মত নেমে আসা ডালপালা ছড়িয়ে ২২৪ বছরের বেশি সময় ধরে দাড়িয়ে রয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সূর্যপুরী জাতের আমগাছটি।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাংগী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের ভারতের সীমান্তের কোলঘেষা মুন্ডমালা গ্রামে সু-প্রাচীন এই বৃক্ষ অবস্থিত।

সূর্যপুরী জাতের বিশাল আকৃতির এই আমগাছটিকে এক নজর দেখতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। গাছটি দেখতে দর্শনার্থীদের টিকেট কাটতে হয়। টিকেটের মূল্য থেকে যে পরিমান আয় হয় তা দিয়ে গাছটির পরিচর্যা এবং দুটি পরিবারের সংসার চলে।

গাছটির বয়স সম্পর্কে সঠিক ধারণা কারো জানা থাকলেও জানা গেছে, সেই এলাকার পূর্বপুরুষদের কথা অনুযায়ী গাছটির বয়স ২২৪ বছরের বেশি। উত্তরাধিকার সূত্রে বর্তমানে গাছটির মালিক নূর ইসলাম এবং সাইদুর ইসলাম নামক দুই ভাই। তাদের পূর্বপুরুষ এই গাছটি রোপণ করেছিলেন।

বিশাল আকৃতির আনুমানিক ৮০ ফুট উচ্চতা এই আমগাছটিকে অনেকে এশিয়ার সর্ববৃহৎ বৃক্ষ বলে আখ্যায়িত করে থাকে। এটি জুড়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ এক এলাকা। মূল কান্ড থেকে শাখা-প্রশাখা বের হয়ে সেগুলোও এক একটি কাণ্ডের সমান স্থুলতা লাভ করেছে।

শাখা-প্রশাখা গুলো ঠিক অশ্বত্থ গাছের মত বের হয়ে রয়েছে। মূল কাণ্ডের পরিধি প্রায় ৩৫ ফুট এবং তিন দিক থেকে প্রায় উনিশটি মোটা শাখা এবং প্রশাখা বের হয়েছে। মাটির সাথে গাছটির যেন আজন্ম মিতালী যে কারণে অধিকাংশ শাখা বেশি উপরে না উঠে মাটির কাছাকাছি বিস্তৃত হয়েছে।

সূর্যপুরী জাতের আম ঠাকুরগাও, দিনাজপুরসহ স্থানীয় অঞ্চলে এই জাতের আম বেশ প্রসিদ্ধ। ‘সূর্যপুরী জাতের এই গাছটির আম খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। বিভিন্ন ঝড়ে বিপুল পরিমাণ আম ঝরে গেলেও প্রায় ৮০ মণের বেশি আম পাওয়া যায়। প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ২০০-২৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। এই আমের বাড়তি চাহিদা হওয়ায় আমের দামও বেশ চড়া।

দর্শনার্থীদের জন্য গাছটির পাশে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে আশ্বাস দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]

Comments are closed.