সড়ক নয় যেন মরণফাঁদ

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সর্দারপাড়া থেকে বাহাদুরাবাদ ঝালোরচর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক যেন মরণফাঁদ। ছোট-বড় গর্ত, উঁচু-নিচু পথ। এরই মাঝেই যানবাহন চলছে। অটো-বাইক উল্টে অনেকে আহতও হয়েছেন। দীর্ঘ ছয় মাস যাবত এই সড়কটি এমন বেহাল অবস্থা রয়েছে।

উপজেলার প্রধান সড়ক এটি, যেই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। পার্শ্ববর্তী উপজেলার রাজিবপুর, রৌমারী ও কুড়িগ্রাম থেকে মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে উপজেলা এবং জেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি ।

গত বছরের বন্যার পর যখন এই সড়ক চলাচলের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে, এই সড়কে যখন হাঁটু সমান পানি জমে বড় বড় গর্ত হয়েছিল, সেই সময়ে এই বিষয়ে কালের কণ্ঠে তখন সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। যার ফলে সেই সময়ে থাকা ইউএনও আব্দুল্লাহ বিন রশিদ দুই লাখ টাকার ইটের খোয়া দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তারপরে বৃষ্টির পানি জমে বড় বড় যানবাহন চলাচলে খোয়া সরে গিয়ে আবারও গর্তের সৃষ্টি হয়।

রাতের অন্ধকারে যানবাহনে চলাচল করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নতুন কোনো যাত্রী এই সড়ক দিয়ে বাইক নিয়ে এলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এছাড়া কোনো রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া বড়ই কঠিনে হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের। এমনকি ২০ মিনিটের রাস্তা অটোতে ঘণ্টাখানেক লাগে।

এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তার কাজ যখন শুরু হবে হোক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপাতত যদি কমপক্ষে কিছু লেবার দিয়ে একটা রোলার পাঠিয়ে উঁচুনিচু জায়গাগুলো একটু সমান করে দেয়। তাহলে আমাদের প্রতিদিনের কষ্ট অনেকটা কমে আসবে।

উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, জিরো পয়েন্ট থেকে ঝালোচর বাজার পর্যন্ত এই সড়কের প্রাক্কলন ব্যয় আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রস্তাব গৃহীত হলে টেন্ডার হবে।

মো: তারেক মাহমুদকালেরকন্ঠ দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি (জামালপুর)।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]

Comments are closed.