দুইশ’ বছরের পুরোনো জিনের মসজিদ
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে মসজিদটি অবস্থিত। এই মসজিদটি এলাকাবাসীর কাছে ‘জ্বিনের মসজিদ’ নামে পরিচিত। জানা গেছে, মসজিদটি কোনো মানুষের নকশা ও শ্রমে নয় অলৌকিকভাবে এক রাতের মধ্যে গড়ে উঠেছে। যার ফলে স্থানীয়রা মসজিদটির নাম দিয়েছে ‘জ্বিনের মসজিদ’।
আনুমানিক দুইশ’ বছর আগে কোনো এক রাতে অলৌকিকভাবে গড়ে ওঠে এই মসজিদ। আগের দিন পর্যন্ত যেখানে ছিল অথৈ পানি। এক রাতের মধ্যে পানির ভেতর মাটি ফেলে কারুকার্যখচিত একটি মসজিদ নির্মাণ করা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই এটা জ্বিনের কাজ।
স্থানীয়দের দাবি, সম্ভবত দুইশ’ বছর আগে একরাতে জ্বিনেরা এ মসজিদের কাজ শুরু করে। ভোররাতের দিকে পাশের বাড়ির একজন মাছ ধরতে গেলে জ্বিনেরা সেখান থেকে চলে যায়। এজন্য কিছু কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। এখন পর্যন্ত সেভাবেই রয়েছে।
মসজিদটি নির্মিত হওয়ার পর প্রায় ৫০-৬০ বছর কেউ সেখানে নামাজ পড়তে যায়নি। কারণ তার আশপাশে তেমন বসতি ছিল না। যে দু’একটা ঘর ছিল, তারা ভয়ে মসজিদের কাছে যেত না। পরে বসতি বাড়ার সাথে সাথে কিছু মানুষ নামাজ পড়তে যেতে থাকে। তখন নামাজের সময় কিছু অপরিচিত মানুষ অংশগ্রহণ করতো বলে জানা গেছে।
প্রায় একশ’ বছর পর মসজিদের কিছুটা সংস্কার করা হয়। তবে ছাদের ওপর ওঠার সাহস এখনো কেউ দেখাননি। সেই এলাকার সকল ধর্মের মানুষ এই মসজিদকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে এবং ঐতিহ্য হিসেবে দেখে থাকে তারা।
পাঁচ কাঠা জমির ওপর স্থাপিত চতুর্ভূজ আকৃতির মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট। মসজিদের ভেতরে নামাজের জন্য তিনটি কাতার রয়েছে। প্রতি কাতারে কমপক্ষে দশজন দাঁড়াতে পারে। মসজিদে এখনো নির্দিষ্ট কোনো ইমাম নেই বা কেউ মসজিদের অভ্যন্তরে অবস্থান করে না। একা একা কেউ নামাজও পড়তে আসেন না। বিশেষ করে জোহর ও এশার নামাজ পড়তে এখনো ভয় পায় মুসল্লিরা। বর্তমানে অনেক কৌতূহলী মানুষ মসজিদটি দেখতে আসে। যার ফলে মসজিদকে ঘিরে জ্বিনের ভয় অনেকটা কেটে গেছে।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.