সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম। যেখানে প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ কোরআন তেলোয়াত অংশ নেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় তাকরীমকে এক লাখ রিয়াল (বাংলাদেশি প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন তাকরীম। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে এর চূড়ান্ত পর্ব গতকাল সমাপ্ত হয়। এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে ১৫৩ জন অংশ নেন। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ১৫ প্রতিযোগীকে ২৭ লাখ রিয়াল পুরস্কার দেওয়া হয়।

এর আগে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম ৭ম স্থান অর্জন করেন। একই সাথে সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন তিনি।
গত ২২ মে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে লিবিয়ার বন্দরনগরী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত ১০ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
এর আগে তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করেন তাকরীম।
তাকরীমের এ অনন্য কৃতিত্বে মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.