চোখ ওঠা সমস্যায় করণীয়

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হলেও স্থানীয়ভাবে এ সমস্যা চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। এ রোগ হলে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। তবে রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় রোগীকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। ভাইরাস জ্বর যেমন ৫/৭ দিনে ভালো হয় তেমনি এটাও এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ: চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়।

আক্রান্ত হলে যা করবেন না:

১. চোখ চুলকানো থেকে বিরত থাকুন।

২. রোগীর ব্যবহার করা সামগ্রী অন্যদের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. এক চোখে সমস্যা দেখা দিলে অন্য চোখকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে হবে।

৪. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।

৫. আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়-চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে।

৬. হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই হ্যান্ডশেক করার পর দ্রুত হাত ধুয়ে ফেলুন। নোংরা হাতে কখনই চোখে হাত দেবেন না।

আক্রান্ত হলে যা করবেন:

১. সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

২. চোখে সাবধানে টিস্যু বা নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহার করা সেই টিস্যু বা কাপড় সাবধানে নিরাপদ স্থানে ফেলতে হবে। যাতে করে এ রোগ অন্য কারো না হয়।

৩. আক্রান্ত ব্যক্তি বাইরে গেলে সানগ্লাস পরতে হবে, তা নাহলে রোদে চোখ জ্বলবে।

৪. চোখে চুলকানি ও বেশি ফুলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]

Comments are closed.