পিরিয়ডের সময় কমবেশি সকল মেয়েদেরই ব্যথা হয়ে থাকে। তবে কারো কারো এই ব্যথার যন্ত্রণা অনেকটা বেশি হয়, যা সহজে সহ্য করা যায় না। পিরিয়ডে প্রথম দিনে তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়, সেই ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে কোমর, ঊরু ও পা পর্যন্ত। অনেকের আবার স্তনেও ব্যথা হয়।
রক্তক্ষরণের চেয়ে এই ব্যথা কাবু দেয় মেয়েদের। যার ফলে ঋতুস্রাবের সময় এলেই সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে ব্যথা নিয়ে। অনেকের ক্ষেত্রে এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টায় কমে যায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা কিছুতেই কমতে থাকে না বরং বাড়তেই থাকে।
জেনে নিন পিরিয়ডের অসহ্য যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়:
তিলের তেল: তিলের তেলের ম্যাসাজ একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার। তিলের তেলে মূলত লিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এবং এতে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য। আয়ুর্বেদ অনুসারে পিরিয়ডের সময় তিলের তেল দিয়ে তলপেটে ম্যাসাজ করলে যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে।
মেথির পানি: বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, এই মেথি বীজ মাসিকের যন্ত্রণা প্রশমিত করতে অত্যন্ত কার্যকর। মাসিকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং তারপর সেই পানি পান করুন। এতে যন্ত্রণা অনেকটা কমিয়ে দিবে।
গরম সেঁক: মাসিকের ব্যথা নিবারণের জন্য গরম সেঁক সব থেকে বেশি জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার। গবেষণায় দেখা গেছে যে, তলপেটে গরম সেঁক দিলে এটি জরায়ুর সংকোচনকারী পেশীগুলোকে শিথিল করতে সহায়তা করে।
এক্ষেত্রে গরম পানির বোতল কিংবা হিটিং প্যাডের মাধ্যমে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও মাসিকের যন্ত্রনা কমতে সহায়তা করে।
ব্যায়াম: গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্যায়াম মাসিকের যন্ত্রণা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। হালকা ব্যায়াম করলে মূলত পেলভিক অঞ্চলের সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং এটি প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন প্রতিরোধ করতে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা ঋতুস্রাবের সময় যোগাসন, যেমন প্রাণায়াম এবং শবাসন করতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই ধরনের ব্যায়াম গুলো ব্যথা কমানোর পাশাপাশি শরীরকে শিথিল করতেও সহায়তা করে।
আদা ও গোলমরিচের চা: মাসিকের যন্ত্রণা কমাতে আদা ও গোলমরিচের চা অত্যন্ত উপকারী। আদা মূলত পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এটি প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মাত্রা কমায়, অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করে এবং ক্লান্তির বিপক্ষে লড়াই করতেও সহায়তা করে। শুকনো আদা, গোলমরিচ এবং সামান্য চিনি ভালো করে ফুটিয়ে নিলেই চা তৈরী করা হবে।
জিরার চা: মাসিকের ব্যথা কমাতে জিরার চা দারুণ কার্যকর। জিরাতে মূলত শিথিল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাছাড়া এতে অ্যান্টি-স্পাসমোডিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণও রয়েছে। যা প্রত্যক্ষভাবে ব্যথা নিবারণে সহায়ক করে।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.