প্রচণ্ড গরমে শিশু ও বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময় সতর্ক না হলে পানিশূন্যতা-বদহজম কিংবা হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই পরিস্থিতিতে সবার স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত। গরমে সুস্থ থাকার উপায়গুলো তুলে ধরা হলো।
তীব্র গরমে সুস্থ থাকার উপায় :
তাপ ব্যবস্থাপনা : সাধারণত মানুষের শরীরে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। এর জন্য শীতল তাপমাত্রা হচ্ছে ২০-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ যদি ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তাহলে শরীরের সহ্যসীমার মধ্যে থাকে। এই তাপমাত্রা ও বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাণের থেকে বেশি হলে তখন শরীর তা সহ্য করতে পারে না।
তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তখন মানুষের মধ্যে হিটস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
পানি ও পানিজাতীয় খাবার গ্রহণ : গরমের সময় পানিশূন্যতা রোধে প্রচুর পরিমাণ পানি এবং পানিজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হয়। পানিজাতীয় সবজি-ফলমূল খাওয়া যেতে পারে। যেমন তরমুজ, আনারস, জাম্বুরা, আপেল। সবজি বেশি খাওয়ার ফলে পরিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। এতে করে শরীরের অস্বস্তি হ্রাস পায়।
সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকা : দিনের যেই সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে তখন সরাসরি রোদে না যাওয়া কিংবা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কাজ থেকে বিরত থাকা ভালো। সূর্যের আলোয় যেতে হলে ছাতা, টুপি ও পায় জুতা ব্যবহার করা উচিত। আর চোখকে ভালো রাখার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করুন এবং সঙ্গে অবশ্যই পানির বোতল রাখবেন।
বাসস্থানের জায়গা ঠান্ডা রাখা : বাসস্থানের জায়গা বা ঘর যেন ঠান্ডা থাকে তার জন্য ঘরে বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের বেলায় ঘরে আলো কম থাকলে সমস্যা নেই, এতে বরং ঘর ঠান্ডা থাকবে। ঘরের ভেতর গাছ থাকলে আরও ভালো। গাছ তাপ শুষে নেয়। ঘরের মেঝে যদি পাকা থাকে তাহলে কিছুক্ষণ পরপর মুছে নিন, এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে।
এছাড়াও তীব্র গরমে যদি কারো শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, মাথা ঝিমঝিম-ভাব হয় কিংবা হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে পড়ে যায় তাহলে বিলম্ব না করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.