জাতীয় শিশু দিবস

আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ আর এই আগামী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষক, আমরা সাধারণ মানুষ। প্রতিটি শিশু কল্পনার জগতে বাস করে তাদের স্বপ্নগুলো রঙিন করে তোলে। ছোটবেলা থেকেই একটি শিশুর সকল অধিকারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, কোনভাবে তাদের অধিকারের বৈষম্য করা যাবে না।

সকল অধিকার আদায়ে তাদের সাহায্য করতে হবে। এই অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র।

জাতীয় শিশু দিবস পালনের ইতিহাস:

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। জাতীয় ভাবে দিনটিতে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কারণেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) খ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ১৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে। প্রথমে দিনটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করলেও পরবর্তীতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বছরে একাধিকবার বিভিন্ন নামে শিশু দিবস পালন করা হয়। এর পাশাপাশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো নিজেদের মতো করে পালন করে জাতীয় শিশু দিবস। আন্তর্জাতিকভাবে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করা হয়। জাতিসংষের ঘোষণা অনুযায়ী ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস হিসেবে পালন হয়।

জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক থিমের উপর একটি শিশুদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। জাপানে বিদ্যমান কোভিড পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

আমরা শিশু দিবসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ করে এই দিনটি আরো সুন্দর ভাবে উদযাপন করব।

“প্রত্যেক শিশুই হলো একটা ভিন্ন ধরনের ফুল এবং তারা একসাথে মিলে এই দুনিয়াকে একটা সুন্দর বাগিচা বানাতে পারে”

সৈয়দা যারিন সুবাহ
৮ম শ্রেনী, বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এবং কলেজ।

1 Comment
  1. Riad says

    The secret of getting ahead is getting started.” You did an amazing job.. I just loved it💓good writing skills also💓

Comments are closed.