টমেটো জুসের স্বাস্থ্য উপকারিতা
টমেটো কাঁচা-পাকা যাইহোক না কেন, রান্নার স্বাদ বাড়াতে সহায়তা করে। আমরা অনেকেই রান্নার পাশাপাশি, স্যালাডের সাথেও টমেটো খেতে ভালবাসি। টমেটোর জুস খাওয়ার ফলে হাইপার টেনশন হ্রাস পায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জুসে বায়োঅ্যাক্টিভ কম্পাউন্ড রয়েছে।
টমেটো জুসের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
ভিটামিন এ এবং সি এর উৎস: টমেটো জুস ভিটামিন এ এবং সি এর দুর্দান্ত উৎস। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং দৃষ্টি সম্পর্কিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: টমেটোর রস উচ্চ কোলেস্টেরল প্রতিরোধেও দুর্দান্ত সহায়ক। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায়, এটি LDL বা খারাপ কোলেস্টেরল ভেঙে ফেলতে সহায়তা করে।
অতিরিক্ত লাইকোপিন বর্তমান: টমেটোর গাঢ় লাল রঙ, মূলত ফ্যাট সলিউবল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লাইকোপিনের কারণে হয়ে থাকে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত যে, লাইকোপিন শরীরকে বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়: টমেটোর রস হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এর জুসে এসেনশিয়াল ভিটামিন এবং ফেনলিক অ্যাসিডের সাথে লাইকোপেন উপস্থিত থাকায়, এটি কোলেস্টেরল এবং গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে, যা হৃদরোগ হওয়ার অন্যতম কারণ।
ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে সহায়ক: টমেটোর রসের অন্যতম গুণ হল, এটি ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। টমেটোতে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে এবং উচ্চ ফাইবার যুক্ত হওয়ায়, এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখতে সক্ষম। এমনকি এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সহায়তা করে।
ডিটক্সিফিকেশন: টমেটোর রসে ক্লোরিন এবং সালফার উপস্থিত থাকায়, এটি শরীরকে ডিটক্সিফিকেশন করতে সহায়তা করে। মূলত লিভার এবং কিডনি, আমাদের শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য দায়ী। প্রাকৃতিক ক্লোরিন, লিভার এবং কিডনির সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখে, সালফার এই অঙ্গ দুটিকে যেকোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.