কৃষক পরিবারের মেধাবী ছাত্রী দীপ্তির ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নপূরণে পাশে দাঁড়ালেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। দীপ্তির গ্রাম থেকে এখন পর্যন্ত কেউ ডাক্তার হননি।
১৯ বছর বয়সী দীপ্তি ভারতের রত্নগিরি জেলার ছোট্ট গ্রাম জারিয়ের বাসিন্দা। তার বাবা একজন কৃষক ও মা গৃহবধূ। ভাইকে নিয়ে চার সদস্যের পরিবার দীপ্তি।
মেধাবী দীপ্তি দ্রারিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে। তার স্বপ্ন বিশ্বসেরা চিকিৎসক হওয়ার। তবে আর্থিক অভানের কারণে সেই স্বপ্নে ফাটল ধরলেও শেষ পর্যন্ত দাতা হিসেবে এগিয়ে এসেছে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার ও তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
মেধাবী দীপ্তির ডাক্তারী পড়ার সুযোগ নিশ্চিত হওয়ার পথে আর্থিক বাধা ছাড়াও সমস্যা হয়ে দাঁড়াই লকডাউন। তার গ্রামে নেট সংযোগের অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। এর কারণে অনলাইন ক্লাসের জন্য বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের বেশি দূরে গিয়ে মিলত নেটওয়ার্ক। দীপ্তি জাতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় (এনইইটি) ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৫৭৪ পেয়েছিলেন। সেই ফলাফলে অনুসারেই এত বাধা পেরিয়েও আজ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান তিনি। দীপ্তির গ্রাম থেকে এখন পর্যন্ত কেউ ডাক্তার হননি।
জাতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় (এনইইটি) ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৫৭৪ পেয়েছিলেন দীপ্তি। তার ভিত্তিতেই আকোলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান তিনি। তবে সেই পথে আবারও বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল অর্থ। আর্থিক দিকে দিয়ে অনহায় ছিল তার পরিবার। মেধাবী ছাত্রী দীপ্তির ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নপূরণে পাশে দাঁড়ালেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার ও তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
মেধাবী ছাত্রী দীপ্তি বলেছেন, আমি এখন আকোলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়ছি। কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই, এ কথা মাথায় রেখেই পড়াশোনা চালিয়ে সুফলও পেয়েছি। আমি একজন বিশ্ব সেরা ডাক্তার হতে চাই। ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই।
সচিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দীপ্তি বলেন, শচীন টেন্ডুলকাকের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আমাকে স্কলারশিপ না দিলে হয়তো ডাক্তারি পড়া সমস্যার হত সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইট করে লিখেছেন, স্বপ্নকে তাড়া করে সফল হওয়ার উদাহরণ দীপ্তি। ওর জীবন কাহিনী অনেককেই প্রেরণা দেবে প্রতিকূলতার মধ্যে এগিয়ে চলার। দীপ্তির জন্য শুভেচ্ছা রইল।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.