ধারাবাহিক গল্প “গন্তব্য”-পর্ব ২
রুদ্র যাওয়ায় উঠে আমি খুব আনন্দ হলাম, তবে এখন একা কফি হাউজের ভিতরে বসে রইলাম। কেন না এই টা যে একটু পরে কালো মেঘে ঢেকে যাবে তার আভাস দিচ্ছিল সেটা বুঝতে পারিনি।
বের না হয়ে কপি হাউজের ভিতরে বসে রইলাম,আর এখানে শুধু কফি খেতে টাকা নিয়ে থাকে বসে থাকার জন্য কোন টাকা পয়সা নেয় না। তাই আমাও বসে থাকা টা নিয়ে তেমন চিন্তা নেয়, তবে চিন্তা হচ্ছে একটু রুদ্রর জন্য ওকি বাস কাউন্টারের পৌঁছাতে পারছে?
নাকি বৃষ্টির জন্য কোন জায়গায় আবার কিছু সময়ের জন্য অবস্থা করছে কিছুই জানি না জানার আগ্রহ টা তেমন খেল কাজ করছে না আমার ভিতরে তবুও ফোন দিলাম রুদ্রকে অনেক সময় রিং হলেও ফোন টা ধরল না। তাই আর দ্বিতীয়বার চেষ্টা করলাম না।
পড়ুন: ধারাবাহিক গল্প “গন্তব্য”-পর্ব ১
কাপ টা এখন আমার সামনে আছে ওয়েটার কাপ টা নেয় নি এখন তাই বসে বসে কাপ টা নাড়াচাড়া করতে লাগলাম। বৃষ্টি ও আর বাড়তে লাগলো আস্তে আস্তে তা মনে হয় ঝড়ে রুপান্তরিত হবে। আশাপাশে যাওয়ার জায়গা নেই বলে এখানে বসে রইলাম।
আর আশেপাশে এক টেবিল থেকে চোখ পড়লো আরেক টেবিলের উপর সেখানে একটা তরুণ আরেক তরুণীর হাত ধরে বসে আছে। মনে হচ্ছে তারা একজন আরেকজনের প্রেমের সাগরে ডুবে সাঁতার কাটছে।
নানান কথা ভাবতে লাগলাম, কখন যে মেয়েটি আমার সামনে এসে দাড়ালো তা বুঝতে পারলাম না। তোমার কাছে কি কোন সিগারেট হবে ধার হিসেবে দিতে পার থাকলে পরে নিয়ে নিও, এখন বাহিরে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি কিছু না বলে সরাসরি সিগারেটের প্যাকেট টা পকেট থেকে বের করে তার সামনে খুলে ধরলাম মেয়েটা সেখান থেকে একটা সিগারেট নেওয়ার কথা থাকলেও সে তিন টা সিগারেট বের করে বলল গ্যাসলাইট টা দেও, সেটাও বের করে দিলাম। ছোট করে ধন্যবাদ বলে আবার তার টেবিলের দিকে রওনা হলো।
আমি প্যাকেট হাতে নিয়ে দেখি মাত্র দুটি সিগারেট আছে শুধু কিন্তু আমার কোন রাগ হচ্ছে না কেন জানি অন্য সময় হলে একটির বদলে তিনটি সিগারেট নেওয়ার জন্য আমি তাকে কিছু টা সাসিয়ে কথা বলতাম কেন না আমার মিথ্যা শুনা পচ্ছন্দ না।
সালমান আবদুল্লাহ
এসএসসি পরীক্ষার্থী, তাহফিজুল কুরানিল কারিম ফাযিল মাদ্রাসা, ঢাকা।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.