নারীর নিরাপত্তা নারীর হাতেই

নিরাপদ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্ত, কিছু মানুষ রূপি হায়েনা- জন্তু- জানোয়ারদের জন্য নারীর চলাফেরা আজও নিরাপদ নয়। তাই নারীকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে নিরাপদে চলার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে।

আজও আমাদের মা বোন এই সমাজে কিছূ মানুষের জন্য নিরাপদ নন, তাই আমাদেরই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করাই সবচেয়ে উত্তম কাজ। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমরা একসাথে অফলাইন ও অনলাইন দুটি জগৎে এসে দাঁড়িয়েছি। আমি মনেকরি দুইটার কোনটাতেই আমরা নিরাপদ নই।

সময়ের পরিবর্তনে প্রযুক্তির উন্নয়নে আমাদের জীবন সহজতর হওয়ার পাশাপাশি সমস্যার মধ্যে রয়েছে। যেখানে অনলাইন নিরাপত্তাই বেশি জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যা মুহূর্তেই কোন তথ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। তাই কোন স্থানে ঘুরতে গিয়ে সাথে সাথেই সে সকল স্থানের ছবি, ঠিকানা ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে বিরত রাখতে হবে।

আগামীকাল কোথায় যাব? কী করব? এরকম আগাম তথ্য অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া মোটেও উচিৎ নয়। জীবন হুমকির মুখে পরে এমন কোন তথ্য, ছবি অথবা ভিডিও পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কখনোই নিজের এমন কোন ছবি বা তথ্য পোস্ট করা উচিত না যেন, অনিষ্টকারীর মনে কুচক্রের আবির্ভাব হয়।

এখন আসি অফলাইন নিরাপত্তায়। অফলাইন নিরাপত্তার মুখ্য বিষয় সর্বদা সতর্কতা ও প্রস্তুত থাকা। আমাদের চলার পথ নিরাপদ করতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। কোন ভাবেই অন্যের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়া। আজ কাউকে বিশ্বাস করে তার কুপ্রস্তাবে রাজি হচ্ছেন। তবে আগামীতে সেই আপনার সেই মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও করে ভাইরাল করে দিল। আর বর্তমানে এরকম ঘটনা দেখাও যাচ্ছে। এমনকি দিন শেষে সেই মেয়েগুলোই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।

বলতে গেলে আমাদের একটু সতর্ক থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখা যায়। আবার অনেক সময় কেউ কুপ্রস্তাবে অনেক জোর করে। সে সময় দরকার হলে তাকে আঘাত করে সেখান থেকে চলে যাওয়া। একা একা না ঘুরে দু তিনজন একসাথে ঘুরাঘুরি করা। প্রয়োজনীয় কাজে রাতে বের হলে অবশ্যই টর্চ লাইট নিয়ে বের হওয়া। স্বাভাবিক চলাফেরায় ঢোলা কাপড় পড়া। কারণ, টাইট কাপড় সাধারণত আটো ধরণের হওয়ায় হাঁটতে কষ্ট হয়। এছাড়াও ধমনী ও শিরায় টানের সৃষ্টি হয়, হাটতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ঢোলা কাপড় পরে দৌঁড়াতে কষ্ট হয় না, ফলে বিপদের দৌড়িয়ে নিজেকে নিরাপদে রাখা যায়।

সেই সাথে উঁচু জুতা হাটায় ব্যাঘাত ঘটায়। তাই উঁচু জুতা পরে রাস্তা ঘাটে বের না হওয়া। চুল খোপা করে রাখা, এমনকি সম্ভব হয়লে ঢেকে চলাফেরা করা। কারণ, মেয়েদের চুল সাধারণত বড় হয়ে থাকে।আর শক্ত করে চুল ধরলে নড়া- চড়া করার মতো শক্তিও থাকে না। যেকোনো বিপদে ভেঙে না পরা এবং সর্বাবস্থায় বিপদকে প্রতিহত করার দৃঢ় মনোভাব রাখা। একটু সতর্ক থেকে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ভালো।

সুয়াইব হাসান রিফাত
একাদশ শ্রেণী, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা 

Comments are closed.