ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও পড়ার টেবিলে বসে আছে নিলয় আর হিমা, কারণ এসময় পড়ার টেবিল থেকে উঠা তাদের নিষেধ,যা কিছু হয়ে যাক না কেন তারা পড়ার টেবিল ছাড়তে পারবে না। যদি ছাড়ে তাহলে তাদের উপর দিয়ে মায়ের মারের ঝড় বয়ে যাবে, তাই মারের ভয়ে বাবার কাছেও যেতে পারছেন না। কেননা এই সময় তাদের বাবার সাথে ও দেখা করা নিষেধ।
বাবা তাদের খুব কাছের বন্ধু যে কোন বিষয় নিয়ে কথা বললে বাবার সাথে বলে , তখন সে তা খুব আগ্রহী দিয়ে শুনে থাকেন। তখন তার ভাব খানা এমন করে রাখেন যেন, সে তাদের দলের কেউ বা তাদের সমান বয়সী তাদের মতো করে গুরুত্ব বুঝে সবকিছুর। সেদিন পাশের ফ্ল্যাটের ছোটনের যে খাঁচা টা ছিল সেটার পাখি নাকি নেই আর পাখি নাকি উড়ে চলে গেছে। তখন ছোটন খুব কান্না করছিল তখন ছোটনের পাখি ফিরে পাবার আশায় নিলয় আর হিমা চিন্তা করতে লাগছিলো কিভাবে পাখি টা ফিরে পাওয়া যায় সাথে ছোটনের কান্না বন্ধ করা যায়।
নিলয় আর হিমার ধারণা ছিল যে কেউ এই পাখি টা কেউ চুরি করেছে তাই এই বিষয় টা নিয়ে তারা দুজন তদন্ত শুরু করল। নিলয় তার যুক্তি গুলো হিমার কাছে প্রদান করতে ছিল আর হিমা তার কথা শুনে হ্যাঁ বা না এইসব বলতে ছিল। যখন তারা কোনভাবেই সমস্যা সমাধান করতে পারছিলো না তখন তারা এই বিষয়টি নিয়ে তাদের বাবার সাথে কথা বলল। তাদের বাবার জায়গায় অন্য কেউ যদি থাকতো তাহলে হয়তো বিষয়টি বিরক্তিকর লাগত বা এত গুরুত্ব দিতো না কেন না এটা ছোটদের বিষয়। তবে তাদের বাবা বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে, তিনি অনেক সময় নিয়ে ভেবে তাদের সিদ্ধান্ত দিলো যে কেউ হয়তো পাখি টা কে ছেড়ে দিযেছে।
পরে নিলয় তার বাবা কে জিজ্ঞেস করলো কেন পাখি টা ছেড়ে দিয়েছে তখন তার বাবা বললো এই পাখি টা চুরি করা সম্ভব নয় কেননা কেউ বাহিরের দিক থেকে এত উপরে উঠা সম্ভব নয় তাই সেদিক দিয়ে কেউ নিতে পারছেনা।পরের বিষয়টি হলো কেউ ছোটদের ঘর দিয়ে গিয়ে ওটা নিতে পারবে না কেননা নিতে গেলে কেউ না কেউ সেটা দেখে ফেলবে।আর পাশের ফ্ল্যাট দিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় কেননা তাদের ফ্ল্যাট থেকে ঐ ফ্ল্যাটের দূরত্ব কম হলেও শুধু পাখি নেওয়া সম্ভব নয় নিতে হলে খাচা সহ নিতে হবে এখানে যেহেতু খাঁচা তার জায়গা মতো ঠিক আছে সেহেতু ঐ ফ্ল্যাট থেকে কেউ নেই নি।
সুতরাং এখন কেউ হয়তো পাখি টা ছেড়ে দিয়েছে বা ভুলে খাঁচার দরজা খুলে রেখেছে তখন চলে গেল। তাদের বাবার যুক্তি শুনে তারা তাদের বাবার দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিলো।তার বাবার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো তিনি এই বিষয়টি নিয়ে তার মতো করে ভাবতেন না।তাই তাদের বাবা কে এত ভালো লাগে। মনে মনে ঠিক করে রেখেছে হিমা যেই পড়ার সময় শেষ হবে সাথে সাথে বাবার কাছে গিয়ে আজকের ঘটনা টা বলবেন কি ঘটেছিল আজকে তার সাথে আরো বলবে নিলয় ভাইয়ের মার শরীরের মধ্যে না লাগার মন্ত্রের কাহিনী,তাই আর পড়ার টেবিল হিমার মন বসছে না। ছটফট করতে লাগছিলো মনের ভিতর কখন যে সে তার বাবার কাছে যেতে পারবে আর ঘটনা গুলো বলা শুরু করতে পারবে।
সালমান আবদুল্লাহ
এসএসসি পরীক্ষার্থী, তাহফিজুল কুরানিল কারিম ফাযিল মাদ্রাসা, ঢাকা।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
[…] পড়ুন নিলয়ের ভূতুড়ে কান্ড-পর্ব ১পড়ুন নিলয়ের ভূতুড়ে কান্ড-পর্ব ২পড়ুন নিলয়ের ভূতুড়ে কান্ড-পর্ব ৩পড়ুন নিলয়ের ভূতুড়ে কান্ড-পর্ব ৪ […]