ছটফট করতে লাগছিলো মনের ভিতর কখন যে সে তার বাবার কাছে যেতে পারবে আর ঘটনা গুলো বলা শুরু করতে পারবে। হিমা এইদিক আই তো? এক রকম আদেশ জারি করলো হিমার উপর হিমা বুঝলো না কেন তাকে ডাকা হলো তবুও সে কোন কিছু না ভেবেই ধীরে ধীরে কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে ভাইয়া ডাকলে কেন?
হিমা দেখতো কয়টা বাজে আর পড়ার টেবিলে বসে থাকতে ভালো লাগছেনা, এমনেই পড়তে ভালো লাগে না তারমধ্যে আবার বসা থাকা হিমা কিছু টা খুশিই হলো এই কথা টা শুনে কারণ তার ও একই অবস্থা আম্মুর নিয়মের কারণে বসে থাকতে হচ্ছে। কি আর করার হিমা কিছু টা উৎসাহ নিয়ে কানে কানে গিয়ে বলল ভাইয়া আর কিছু সময় বাকী আছে।
তবে আম্মু যেহেতু সিরিয়াল নিয়ে ব্যাস্ত আছে সুতরাং আমরা এখন উঠে গেলে কোন কিছু হবে না। আব্বুর কাছে যাওয়া যাক, নিলয় কিছু না ভেবেই বলল চল আব্বুর কাছে যাই। দুই জন মিলে চুপচাপ বাবার কাছে পৌঁছে গেছে যে তাদের বাবা বুঝতেই পারিনি, কিন্তু তার ঘাড়ে সুরসুরি অনূভব করা মাত্রই সে বুঝে নিল তার ছেলে-মেয়েরা তার কাছে এসে পড়েছে। কেন না তারা কাছে এসেই সব সময় পিছন থেকে ঘাড়ে সুরসুরি দেয়। এই জিনিস খুব ভালো লাগে জহির সাহেবের।
পড়ুন নিলয়ের ভূতুড়ে কান্ড-পর্ব ১
পড়ুন নিলয়ের ভূতুড়ে কান্ড-পর্ব ২
পড়ুন নিলয়ের ভূতুড়ে কান্ড-পর্ব ৩
পড়ুন নিলয়ের ভূতুড়ে কান্ড-পর্ব ৪
কেন না বর্তমান সময়ে বেশিভাগ ছেলে মেয়ে তারা তাদের কে বাবা মা সাথে বন্ধুত্ব ভাব তৈরি করে না, এতে অবশ্য সন্তানদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। বাবা-মা’ রা সন্তানদের বন্ধুত্বের মতো করে নেওয়ার জায়গা বা সময় টা দেয় না, তাই হয়তো সবাই বাবা মা কে আড়াল করে চলে। আর যদি স্মার্টফোন টা হাতে থাকে তাহলে তো হলে তো হলোই। বাবা মা সন্তান সবাই নিজের কাছের ব্যস্ত তৈরি করে নেয় মোবাইলকে, তবে সেদিক থেকে সে বেশ ভালো তার সন্তান। সন্তানদের সাথে তার সম্পর্ক টা বাবার চেয়ে বন্ধুর সম্পর্কটাই বেশি কেন না এমন কিছু ঘটে না যা নিলয় আর হিমা তার কাছে এসে বলে না।
যদি টিকটিকি লেজ পড়ে যায় তাও বাবা কে এসে বলে আচ্ছা বাবা কেন টিকটিকির লেজ পড়ে গেল? টিকটিকির লেজ পড়ে গেলে কি গরুর লেজ পড়ে যাবে ধরলে? এইসব ধরনের নানা অদ্ভুত অদ্ভুত প্রশ্ন ছুড়ে দেয় বাবার দিকে আর বাবা সুন্দর ভাবে তাদের উত্তর গুলো দেয়, কতটুকু বুঝে সেগুলো তারা জানে না তবে বাবা যে তাদের বলেছে এটাই তাদের খুশি। মাঝে মাঝে অবশ্য বাবা আর ছেলে মেয়েদের অদ্ভুত এই কান্ড গুলো দেখে তাদের মা রেহানা খাতুন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। এতে তাদের কিছু যায় না কারণ বাবা পাশে থাকলে তাদের আর কিসের ভয়…।
সালমান আবদুল্লাহ
এসএসসি পরীক্ষার্থী, তাহফিজুল কুরানিল কারিম ফাযিল মাদ্রাসা, ঢাকা।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.