প্রথম পিরিয়ড আতঙ্ক নয় সচেতনতা
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের প্রথম ঋতুস্রাব সবার কাছেই অস্বস্তি ও আতঙ্কের এক নাম। এই সময়ে মেয়েদের শরীরে নানান পরিবর্তন দেখা দেয়। এই পরিবর্তনের সাথে শারীরিক ও মানসিকভাবে সকলে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না।
প্রথম পিরিয়ড নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য:
সাধারণত সকলে মেয়েদের ১২-১৩ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়। তবে অনেকের ৮-৯ বছরেও শুরু হতে পারে। এছাড়া আবার অনেকের ১৫-১৬ বছর বয়সেও হয়।
মাসিক শুরু হওয়ার প্রায় তিন বছর আগে থেকে স্তনের বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যা স্তনের বৃদ্ধির চার বছরের মধ্যে প্রথম মাসিক শুরু হয়। এছাড়া এই সময়ে পিউবিক হেয়ার বৃদ্ধি পায়। যার দুই বছরের মধ্যে প্রথম মাসিক শুরু হয়।
প্রথম মাসিক শুরুর আগে সাধারণত যোনিপথে সাদা বা হলুদাভ স্রাব নির্গত হয়ে থাকে। এই স্রাব নির্গত হওয়ার ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে প্রথম মাসিক শুরু হয়। তবে অনেকের আবার একটু বেশি সময়ও লাগতে পারে।
প্রথম পিরিয়ডে আপনার প্রস্তুতি:
ঋতুস্রাব মেয়েদের জীবনের একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। যার ফলে লজ্জা, ভয়ের কিছু নেই। বরং প্রথম পিরিয়ড আতঙ্ক না হয়ে সচেতনতা হওয়ায় সবচেয়ে উত্তম। এ সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং সেই সাথে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার থাকা সবচেয়ে জরুরী।
প্রথম পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগেই এই বিষয়ে অভিভাবক বা ডাক্তারে কাছ থেকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং স্বচ্ছ ধারণা নেওয়ার প্রয়োজন। সাধারণত মাসিকের স্থায়ীকাল ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেই নিয়মেই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
সাধারণত বেশির ভাগ মেয়েদের ১২-১৩ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়। সেই হিসেবেই এ সময় প্রয়োজনীয় উপকরণ কাছে রাখা ভালো। স্কুলে বা অন্য কোনো পাবলিক স্থানে প্রথম মাসিক হলে লজ্জা বা ভয় না পেয়ে আশপাশের কারও সাহায্য নেওয়া উচিৎ। মাসিকের সময়ে পরিষ্কার শুকরো কাপড় বা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে।
প্রথম পিরিয়ড শুরু হওয়ার প্রথম কয়েক বছর বেশির ভাগ মেয়েদেরই কিছু শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তিতে ভোগেন। এই সময়ে কোমরে বা তলপেটে ব্যথা, স্তনে ভারী বোধ, মানসিক অস্থিরতা বা ক্লান্তি বোধসহ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তবে মনের জোর বেশি থাকলে ও সঠিক নিয়ম মেনে চললে উপসর্গগুলো থেকে অনেকটা মুক্তি মিলবে। তথ্য সূত্র: আজকের প্রত্রিকা।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.