জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলায় পলিথিনের ঘরে থেকেও অসহায় বিধবা ফুলমতি (৫৯) ভাগ্যে জোটেনি নেই সরকারি সহায়তা অনাহারে দিন কাটে ফুলমতি। স্থানীয় মেম্বারের দ্বারে দ্বারে ঘুরে অনেকটাই ক্লান্ত এ বিধবা নারী।
উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ছবিলাপুর গ্রামের মৃত ফজল উদ্দিনের স্ত্রী ফুলমতি। এক ছেলে এবং এক মেয়ে থাকলেও কেউ খোঁজ রাখেননি, স্বামীকে হারিয়েছেন ২ বছর আগে।
মাকে ফেলে ছেলে শাহাবুদ্দিন স্ত্রী সন্তান নিয়ে আলাদাভাবে সংসার করছেন। তার এমন বিপদে এগিয়ে আসেননি জনপ্রতিনিধিরাও। এখন পর্যন্ত তার ভাগ্যে জোটেনি বিধবা ভাতা, ভিজিডি কার্ড কিংবা মাথা গোঁজার মতো একটা ঘর।
বৃহস্পতিবার (২৭মে) বিধবা ফুলমতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কোনো রকমে পলিথিন দিয়ে তৈরি ছোট একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকেন। নেই ঘরের বেড়া,যেদিন রাতে বৃষ্টি আসে সেদিন বিছানার এক কোণে বসে রাত কাটান তিনি। বৃষ্টির পানিতে সব কিছু ভিজে যায়।
বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিধবা ফুলমতি বলেন, আমার খোঁজখবর নিয়ে কি হবে ৮ বছর অসুখে থাইকা মারা গেছে স্বামী। শুধুমাত্র বসত ভিটা টুকু ছাড়া অন্য কোনো সহায়-সম্পদ রেখে যাননি।
একমাত্র ছেলেটাও আমার খোঁজ রাখে না, অন্যের বাড়িতে কাজ-কাম কইরা বাইচা আছি। এই একটা ঈদ গেলো কোন মেম্বার চেয়ারম্যান এক পয়সা টাকাও দিয়ে সহযোগিতা করেনি। করোনার জন্য ২৫০০ করে টাকা পাইসে সবাই। গত বছরে মেম্বারের কাছে গিয়ে কত বলছি আমার একটা নাম দিতে, কিন্তু আমি মেম্বার আমার নাম দেয় নাই।
স্থানীয়রা জানায়, বৃষ্টি-বাদলের দিন খুব কষ্ট হয় এই বিধবা। ফুলমতি অতি দরিদ্র হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি বিধবা ভাতা ও একটা সরকারি ঘর।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন ঘরের বরাদ্দ আসলে একটি ঘর দেয়া হবে। এখন আমরা ফুলমতির জন্য ঢেউটিনের ব্যবস্থা করব। সেই সঙ্গে ভাতার জন্য আবেদন করে থাকলে সেটা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
মো: ইমরান মাহমুদ
শিক্ষার্থী, অর্নাস ১বর্ষ, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.