ইমন, নওশিন, শান্তা, গালিব এরা চার বন্ধ। তারা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারে না। এমনকি একে অপরকে ছাড়া থাকার কথাও ভাবতে পারে না। এমন বন্ধুত্ব ছিল তারা। গত ২২ শে ডিসেম্বর গালিবের বাবা-মা তার জন্মদিন পালন করে। জন্মদিনে তার বন্ধুরাও উপস্থিত ছিল।
গালিবের জন্মদিনের রাত্রের কথা। অনুষ্ঠান পালন করার পর সবাই যার যার বাসায় চলে যায়। কিন্তু গালিব তার প্রিয় বন্ধুদেরকে ছাড়তে চাই না। তাই সকলে গালিবের বেড রুমে বসে গল্প করছিল। এমন সময় উপস্থিত হলেন গালিবের বাবা-মা। তারাও তাদের গল্পে মেতে উঠলেন। কিন্তু গালিবের বাবা-মার গল্প করা স্থায়ী হল না, তাদের আর্জেন্ট কাজে চলে যেতে হয়েছিল। কিন্তু গালিবের বাবা-মার অনুরোধে তার বন্ধুগুলো যেন থেকে যায়। ফলে তাদের গল্প চলমান থাকে।
গল্প করতে করতে রাত ২ টা বেজে যায়। হঠাৎ করে গালিবের ঘরের কারেন্ট চলে যায়। সবকিছু অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।বুঝতে পারছিল না কি করবে? সবাই আশ্চর্য হয়ে অন্ধকারে বসে ভাবছিল কেন কারেন্ট চলে গেল? কারণ ওই সময় কারেন্ট চলে যাওয়ার সময় না। কিন্তু দূর্ভাগ্য ও সময় ঘরে কোন মোমবাতি ছিলো না। ফলে তারা অন্ধকারে ভয়ে ভয়ে একে অপরের কাছে বসেছিল। এমন সময় হঠাৎ করে গালিবের রুমের বাল্ব জ্বলে উঠল। তারা তো ভয়ে কাঁপছিল। কারেন্ট নেই গালিবের ঘরে কেমনে বাল্ব জ্বলে উঠল? প্রথমে তারা তেমন ভয় পেল না। কারণ তারা মনে করছিল লোডশেডিং হচ্ছে।
পরে যখন ইমন গালিবের ঘরের বাল্ব নিভাবে তখনই আপনা-আপনি বাল্বটি নিভে যায়। তারপরে ডিনার ঘরের বাল্বটি জ্বলে উঠে।সেখারেও একই কাণ্ড। এসব দেখার পর তারা ভয়ে কাঁপছিল। হঠাৎ করে টিভি চালু হয় কিন্তু স্থায়ী না বরং বন্ধ করার সময় একাই বন্ধ হয়ে যায়। একই ভাবে কলের অবস্থা। এসব দেখে তো নওশিন ভয়ে বলে উঠল ভাই এখানে কি কোন আত্মা আছে? এসব শুনে তো শান্তা বলে উঠল নিশ্চিত এখানে আত্মা আছে। সকলের এসব পাগলামি দেখে ইমন বলে উঠল, আসলে তোরা অনেক ভীতু। আত্মা মাত্মা হয় নাকি? এমন সময় গালিব বলে উঠল হ্যাঁ ভাই আত্মা আছে। আমি আমার দাদার কাছ থেকে শুনেছি। তার এসব কথা শুনে তো আরও ভয় পেল নওশিন আর শান্তা।
কিন্তু ইমন ভয় পাওয়ার পাত্র নয়। সেই বিশ্বাস করে না আজও পৃথিবীতে আত্মা আছে। তাদের এসব কথা চলার সময় দরজায় যেন কেউ কলিং বেল বাজাল। কলিং বেল শুনার পরই নওশিন, শান্তা ও গালিব ভয়ে তো আকৃষ্ট। কিন্তু আগের মতো সাহস করে বলে দেখ, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিশ্চয় আংকেল-আন্টি আসছে। দেখে দরজা খুলি আয়। কিন্ত তারা তো ভয়ে নড়তেও পারছে না।
এসব দেখে ইমন হাসতে হাসতে দরজার সামনে পৌঁছাল এবং বলে উঠল আংকেল আপনারা তাড়াতাড়ি চলে আসছেল? বলছিলেন কালকে আসবেন। কিন্তু দরজার অপর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া শব্দ আসছিল না। শুধু শুনা যাচ্ছিল হুম হুম শব্দের আওয়াজ… এতে ইমন একটু ভয় পাই। তাই সেই দরজা খুলতে পারছিল না। পরে সকলে যখন দরজা খুলল। তখন তাদের যে অবস্থা হয়েছিল বলে বুঝাবার মতো না। সেই এক ভয়ানক অবস্থা। দরজা খুলে যাকে তারা দেখছিল সেই এক ভয়ানক লোক, লম্বা লম্বা চুল, লম্বা লম্বা দাঁড়ি, লম্বা লম্বা নখ ইত্যাদি।
লেখক: মো: আরমান
শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণি, পেকুয়া সরকারি মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন, কক্সবাজার।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
[…] পড়ুন: ভৌতিক বাড়ি-পর্ব ১ […]