সেই এক ভয়ানক অবস্থা। দরজা খুলে যাকে তারা দেখছিল সেই এক ভয়ানক লোক, লম্বা লম্বা চুল, লম্বা লম্বা দাঁড়ি, লম্বা লম্বা নখ ইত্যাদি। দেখে তো এক আত্মার মতো। আসলে সেই একজন জঙ্গলে বসবাসকৃত লোক। সে তাদের একটা পত্র দিতে এসেছে। নওশিন সেই জঙ্গলে বসবাসকৃত ভয়ানক লোকটা কাছে জিজ্ঞেস করতে যাবে তখনই সেই ভয়ানক লোকটা শান্তার হাতে পত্রটা দিয়ে বলে উঠে এত কিছু জানতে চেয়েও না তোমরা। একথা শুনে তো নওশিন হতবাক।
সে কি করে জানল তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে যাব। অতঃপর সেই ভয়ানক লোকটা একথা বলে কিছুক্ষণ পর কোথাও যেন অদৃশ্য হয়ে গেল। এসব কর্মকাণ্ড দেখে তো শান্তা, ইমন আত্মা আছে বলে বিশ্বাস করে ফেলে। করবে নাই বা কেন? এসব দেখে তো যে কেউ আত্মার ভয়ে পালিয়ে যাবে। তাদের এসব কথাবার্তার সময় হঠাৎ করে নওশিন সাহস করে শান্তার হাত থেকে পত্রটা নিল, দেখে তো হতবাক নওশিন। এটা কি রকম পত্র। নওশিনের মাথায় এসব ঘুরপাক করছে আসলে পত্রটা কি রকম? ঝাপসা ঝাপসা, পুরাতন কাগজ দিয়ে মুড়ানো। তাছাড়া সব থেকে আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে পত্রের লেখাটা রক্তের মতো তরল দিয়ে লেখা। নওশিন বুঝতে পারল সেটা রক্ত। কিন্ত সেই বুঝতে পারছে না সেটা কিসের রক্ত?
কিন্তু নওশিন এতকিছু চিন্তা না করে সরাসরি পত্রটা পড়তে শুরু করে দিল। পত্রে লেখা ছিল এমন…যদি এ বাড়িতে তথা পত্রে লেখা বাড়িতে এক সপ্তাহ থাকতে পারে তাহলে বাড়িটি তোমাদের হয়ে যাবে। নওশিনের মুখে এরকম কথা শুনে তো সবাই অবাক। গালিব বলে উঠল পাগল হয়ে গেছিস নাকি নওশিন? কেন পাগল হতে যাব? দেখ তুই তাহলে কি লেখা আছে… গালিব দেখে তো সম্পূর্ণ অবাক। এটা কি হল ভাই আমাদের সাথে! নওশিন আর গালিবের এসব কথাবার্তা শুনে শান্তা আর ইমন তো শুধু তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা ঘটে যাওয়া ঘটনাটি এখনো ভুলতে পারে নি।
কিন্তু নওশিন ও গালিব তাদের কৌতূহল মেটানোর জন্য সেই ভয়ানক লোকের কথামতো সেই ভয়ানক বাড়িতে যাওয়ার জন্য আকুল হয়ে উঠে। কিন্তু শান্তা আর ইমন ভয়ে যেতে চাচ্ছে না। তারা বলে অতি লোপ ভালো না। আমাদের যা আছে তাতেই অনেক ভালো আছি। কিন্তু তাদের কথাগুলো পার্তা দিচ্ছে না নওশিন আর গালিব। অবশেষে রাজি করাল শান্তা আর ইমনকে। তবে তারা একটা সমস্যায় পড়ে যায়, তা হচ্ছে তারা কখন যাবে? পত্রে কোনো সে ব্যাপারে কোনো কিছু লেখা ছিল না। তাই তারা এ বিষয়ে কনফিউজ হয়ে যায়।
অবশেয়ে সেই ভয়ানক রাতটার শেষে ভোর হতে শুরু করল। সবার চোখ লেখে আসছিল। পরে কিছুক্ষণ এর মধ্যে তারা সবাই ঘুমের মধ্যে টলমল করছে। কখন যে তারা ঘুমিয়ে পড়ল কিছুই বুঝতে পারল না। যখন গালিবের ঘুম ভাঙ্গে তখন সেই দেখছিল তার মাথায় তার মা হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। প্রথমে তো গালিব বিশ্বাস করতে পারছিল না, কেমন করে তার মা এখানে কি করে আসছে? কিংবা কখন আসছে? পরে যখন তার পুরাপুরি ঘুমটা ভাঙ্গল তখনই সে বিশ্বাস করছে এবং দেখল বাকি বন্ধুরা এখনো ঘুমাচ্ছে। সেই বুঝতে পারছে না গত রাতের সেই ভয়ানক গল্পটা বলবে কিনা?
লেখক: মো: আরমান
শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণি, পেকুয়া সরকারি মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন, কক্সবাজার।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.