সেই বুঝতে পারছে না গত রাতের সেই ভয়ানক গল্পটা বলবে কিনা? এমন করে বাকি সব বন্ধুরা ঘুম থেকে উঠল। তারা সবাই কনফিউজ। সকলে কি গালিবের বাবা-মার সাথে সেই রাতের ভয়ানক গল্পটা শেয়ার করবে?
অবশেষে কথাটা না বলার জন্য সকলে একমত হয়। তাদের যেমন ভাবনা তেমন কাজ। কাউকে বলল না সেই রাতের ভয়ানক গল্পটা। এরপরে সবাই গালিবের বাসায় সকালের নাস্তা শেষ করে যার যার বাসায় চলে গেল। তবে একে অপরে সাথে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে নাই। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় তাদের একে অপরের সাথে কথা হয়েই চলেছে। পরিশেষে তারা আজকেও একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিল। কারণ জানতে চাই কি হচ্ছে কিংবা কি হতে চলেছে!
সকলের কথা ছিল আজ রাত ১১টার দিকে সবাই নওশিনের বাসায় যাবে এবং ওই রাতটা নওশিনের বাসায় থাকবে। এখন প্রায় রাত সাড় ১০ টা, ইমন আর শান্তা চলে আসে নওশিনের বাসায়।
কিন্তু এখনো গালিবের দেখা নেই। নওশিন, শান্তা আর ইমন একসাথে বসে কফি খাচ্ছিল। তবে ঠিক ওই সময় আগের রাতের সেই একই ঘটনা। সেই ভয়ঙ্কর রাত। কখনো বাল্ব জ্বলে আবার কখনো নিভে যায়। কখনো টিভি অন হয় আবার কখনো অটোমিটিকলি অফ হয়ে যায়।
ঠিক তখনই নওশিন বলে উঠল, মনেহয় ঐ লোকটা চলে এসে পড়েছে। পুনরায় আগের মতো, দরজায় কলিং বেল বেজে উঠল, ভয়ে কাঁপতে থাকে শান্তা আর ইমন। কবে নওশিন একটু নিঃশ্বাস নিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায়। পিছু পিছু শান্তা আর ইমন। তখন তারা ভয়ে আত্মহারা। কে ভয় পাবে না! এরকম রাতে?
পরে যখন নওশিন দরজা খুলতে যাবে তখনই শান্তা বলে উঠল সাবধানে নওশিন! ভয় পাওয়ার গলায় নওশিন বলে ওঠল ঠিক আছে। কি আর বলব… তখন তো নওশিন ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যাবার মতো অবস্থা। তবেও নিজেকে কন্ট্রোলে রেখে বাকি সবাইকে সাহস দিয়ে যাচ্ছে। শান্তার আর কি বলব – ও তো ভয়ে রয়েছে। নওশিন ইমনের সহায়তায় বাসার বাইরের দরজাটা খুলে ফেলল। দরজা খুলার পর তারা দেখতে পেল আগের মতোই সেই ভয়ানক অবস্থা।
লেখক: মো: আরমান
শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণি, পেকুয়া সরকারি মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশন, কক্সবাজার।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.