প্রত্যেক সন্তানের সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো মা-বাবা, দুজনের মধ্যে সবচেয়ে কাছের হলো মা। সবসময় সন্তানের সুখ দুঃখের কাছের বন্ধু। যার শ্রেষ্ঠত্ব হলো সবার উপরে। মা কতটুকু সন্তানের জন্য কষ্ট করে সেটা মা’ই ভালো জানেন।
সন্তান গর্ভে আসার পর থেকে ভূমিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত সন্তানের কল্যাণের জন্য নিজেকে বিসর্জন দেন। আমি নবম- দশম শ্রেণিতে থাকাকালে প্রতিদিনের মতো রাতে খাবারে পর পড়তে বসি। পাশের বাড়িতে সন্তানের মা হওয়া জন্য প্রতিবেশী ফুফু প্রসবের ব্যাথায় চিল্লাচিল্লি করে কান্নাকাটি করছে, মাঝে মাঝে এত জোরে চিৎকার করতেছিল মনে হচ্ছে সব কিছু তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, এ কান্নার শব্দ কানে আসায় মনে পড়ে গেছিলো আমার মায়ের কষ্টের কথা।
প্রত্যেক মা’ই সন্তানের জন্য এমন হাজারও কষ্ট সহ্য করে আসতেছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মা সন্তানের জন্য কত কষ্ট করে সেটা নিজের চোখে না দেখলে জানতাম না। তাই তো সবার মতো আমার জীবনেও শ্রেষ্ঠত্ব মা।
অতি ছোট্ট একটা শব্দ হলেও কিন্তু মা ডাকটার বিশাল পরিধি। সৃষ্টির সেই শুরু থেকে মধুর এই শব্দটার মাঝে লুকিয়ে আছে বড় মনের মানুষের পরিচয়,মায়া- মমতা, ভালোবাসা, সন্তারের জন্য ত্যাগের মহিমা এবং ক্ষমতাও যেন সর্বোচ্চ শিখড়ে। সকল ধর্মেই মায়ের মর্যাদা সবার উপরে ইসলাম ধর্মেও বলা হয়েছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত এছাড়া মায়ের দোয়া সৃষ্টিকর্তার কাছে নিঃসন্দেহে কবুলীয়। তাইতো সকলের জীবনে সবার উপরে সম্মান-মর্যাদায় মায়ের স্থান।
আমি মনে করি তাঁকে শ্রদ্ধা,ভালোবাসা জানানোর জন্য কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন নেই৷ তবুও প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়৷ কিন্তু মায়ের জন্য মাত্র একটি দিবস, চিন্তাও করা যায়! আসলেই কি মায়ের সম্মান একটি দিনের জন্যই সীমাবদ্ধ?বছরের বাকি দিনগুলোতে তাহলে কী হবে? মা’কে দূরে ঠেলে রাখবে? আমার কাছে বছরের প্রত্যেক দিনেই প্রতিটি মুহুর্তেই মায়ের জন্য ভালোবাসা। পুরো বছর মায়ের কোনো খোঁজ খবর রাখে না, ‘বিশ্ব মা দিবস’ শুধু তাদের জন্য আমি মনে করি। ওই দিনটিই মায়ের জন্য তারা আহ্লাদে মেতে ওঠেন, আলোকিত জাকজমকের মধ্য দিয়ে।
আমরা যারা তরুন প্রজন্ম সব সময় মায়ের কষ্টের দিকগুলো খেয়াল রাখতে হবে, যে আমাদের লেখাপড়াসহ জীবনের সকল অর্জনের জন্য গর্ভ-জননী কি পরিমাণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছে তা অতুলনীয়।
সকলের উচিৎ শৈশব থেকেই মায়ের প্রতি ভালোবাসাময় আচরণ করা, জীবনের প্রতিটা মুহুর্তের সুখ দুঃখের সময়গুলো মায়ের সাথে শেয়ার করা। নিদির্ষ্ট দিবসে স্মরণ নয়, মায়ের জীবদ্দশায় প্রতিটি মুহূর্তেই হাস্যোজ্জ্বল,সম্মান ও মর্যাদার সহিত সর্বোত্তম আদর্শ আচরণ করবো ইনশাআল্লাহ।
লেখক: মো: সোহেল রানা
শিক্ষার্থী, উত্তরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঢাকা।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.