ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইউটিউব এ মোটিভেশনাল ভিডিওর একটা প্রচলন শুরু হয়েছে। এগুলো মূলত শিক্ষার্থী বা যেকোন ব্যক্তির মধ্যে অনুপ্রেরণা গড়ে তুললে তৈরী করে থাকে। এই মোটিভেশনাল ভিডিওর তৈরীর জন্য কিন্তু মেন্টররা অনেক মাথা খাটায় কিভাবে একজনকে মোটিভেট করা যায়?
তবে মেন্টররা যে পরিশ্রম করে তাতে কি কোন লাভ পায়? তাদের উত্তরে সবসময়ই থাকে যে তারা লাভের জন্য কাউকে মোটিভেট করে না। লাভ কি হয়! কেউ যদি অনুপ্রাণিত হয় এবং নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে এটাই তাদের কাছে বড় পাওয়া ও লাভ।
আমি মনেকরি এই মোটিভেশনাল ভিডিওগুলো প্রত্যেকের জন্য খুবই ভয়ানক। এটা শুনার পর মেন্টরদের অবশ্যই মনে হবে, কেন! অন্যকে মোটিভেট করা বুঝি খারাপ?
এখন আসি উত্তরে… অন্যকে মোটিভেট করা খারাপ না কিন্তু যাকে মোটিভেট করছেন সে কি মোটিভেট হচ্ছে? একটু খোলাসা করে বলা যাক। আমরা অনেকেই মোটিভেশনাল ভিডিও দেখি। মেন্টরদের ভয়েস তাদের কথা, বক্তব্য, বাণী, আর কাহিনী কিন্তু সত্যিই একজন মানুষকে অনুপ্রাণিত করে? কিন্তু কতক্ষণ? প্রশ্নটা খুবই জটিল।
এই যেমন আমরা যখন মোটিভেশনাল ভিডিওগুলো দেখি তখন আমাদের মনে একধরণের অনুপ্রেরণা জাগে, সেটা কিছুক্ষণ থাকলেও পরে সেটা কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। ভিডিওগুলো দেখার পর আমরা তাদের জীবনের সাথে মিলিয়ে আমাদের জীবনকে সেভাবে গড়ে তুলতে চায়। অনেক অভ্যাস বদলিয়ে ফেলি, অনেক সময় বাঁচিয়ে রাখি ইত্যাদি। কিছুদিন পর দেখা যায়, তাদের জীবনের সাথে আমাদের জীবন মানিয়ে নিতে পারছি না। তখনই আমরা আমাদের আগের জীবনেই ফিরে যায়। এভাবেই মোটিভেশনাল বক্তব্যগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর এই মোটিভেশনাল ভিডিগুলো সময়ও নষ্ট করে। কারণ যেটা আমি পারব না সেটার পেছনে ছুটলে তো সময় নষ্ট হবেই!
আসলে মোটিভেশনাল ভিডিওগুলোর মান খারাপ থাকে না। কেউ যদি প্রবল আকর্ষণ নিয়ে মোটিভেশনাল ভিডিওগুলো দেখে তাহলে সে অবশ্যই অনুপ্রাণিত হবেই। তবে সবাই তো আর এক নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেকে মোটিভেশনাল ভিডিওকে সময় অপচয় বলে মনে করে। কিন্তু কেন? কারণ তারা ভিডিওগুলো সঠিকভাবে নিজেদের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে পারে না। এই যেমন বললাম একজন মোটিভেশাল ভিডিও দেখে কিছুক্ষণের জন্য নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলেছে। কিন্তু কিছু সময় পরপরই তা আবার আগের স্থানেই।
মোটিভেশনাল ভিডিওগুলোতে মেন্টররা যেভাবে বক্তব্য দেয় তা মস্তিষ্ককে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে বাধ্য! আর তারপর যখন ব্যক্তিটি অন্যমনষ্ক হয়ে ওঠে তখনই সে আত্মবিশ্বাসী থেকে বের হয়ে আসে। তাই মোটিভেশনাল ভিডিও থেকে আমরা যদি সত্যিই মোটিভেটেড হতে চাই তাহলে আমাদের মোটিভেশনাল ভিডিওগুলোকে খুবই কড়া মনোযোগে দেখতে হবে এবং কথাগুলো ঠিকঠাক পালন করতে হবে। যখন কেউ মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে উপকৃত হচ্ছে না, তবে ভিডিও দেখা থেকে দূরে থাকাই সব চেয়ে উত্তম হবে। আপনি যখন ধরেই নিয়েছেন যে মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে আপনি উপকৃত হবেন না। তবে কেন ভিডিও দেখে নিজের সময়কে অপচয় করবেন, ববং সেই সময়কে যথাযথ কাজে লাগিয়ে সাফল্য অর্জন করার চেষ্টা করুন।
নওশিন জাহান
দশম শ্রেণী, এডভোকেট খলিলুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়, জামালপুর।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
[…] পড়ুন: বড় হয়ে তুমি কি হবে?পড়ুন: আমরা কেন বিজ্ঞান শিখব?পড়ুন: মোটিভেশনাল ভিডিও সত্যি কি অনুপ্রেরণা… […]