প্রথম কয়েক বছর শিশুর এ বিকাশ খুব দ্রুত হয়ে যায়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়তো এ প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে সম্পন্ন হয়। মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করতে সুষম খাদ্যের ভূমিকা অনেক।
চলুন জেনে নেই সেইসব খাদ্যের নাম:
ডিম: ব্রেকফাস্টের প্লেটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বল্প পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সংমিশ্রণ, শুধুমাত্র বাচ্চার পেটই ভরাবে না, পাশাপাশি বাচ্চাকে সারাদিন এনার্জিতে পরিপূর্ণ রাখবে। ডিম উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং এর মধ্যে কোলিন থাকে, যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
অয়েলি ফিশ: অয়েলি ফিশ উচ্চ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ হয়, যা মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোষ তৈরীর প্রয়োজনীয় উপাদান। স্যালমন, ম্যাকারেল, টুনা, ট্রাউট, সার্ডিন এবং হারিং জাতীয় মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের খুব ভালো উৎস। সপ্তাহে একদিন বাচ্চাদের এই মাছগুলো খাওয়ানো প্রয়োজন।
ওটস : ওটস-এ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা বাচ্চাদের পেটকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভরা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ হয়, যা বাচ্চাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখে।
রঙিন শাকসবজি: রঙিন শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয়, যা বাচ্চাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে স্বাস্থ্যকর রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। মিষ্টি আলু, গাজর, পালং শাক, বিট, ব্রকোলি, টমেটো, কুমড়ো, প্রভৃতি আপনার বাচ্চার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্য: দুধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্য, যেমন – দই, পনির, চিজ প্রভৃতির মধ্যে প্রোটিন এবং ভিটামিন বি প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলি মস্তিষ্কের টিস্যু, নিউরোট্রান্সমিটার এবং এনজাইম-এর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় এবং এই সবকিছু মস্তিষ্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিনস: বিনস প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের দুর্দান্ত উৎস। কিডনি এবং পিন্টো বিনস-এ প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ থাকে। আপনার বাচ্চা স্যালাডে বিনস মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.